সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে গবাদিপশু, গোলার ধানসহ সবকিছু। রবিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের চিকারকান্দি হাজীবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডের মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৮০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ব্যক্তির নাম আমরোজ মিয়া (৫৫)। তিনি একই গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে। আগুন লাগার পর ঘরের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত হন তিনি। এসময় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় রবিবার রাত আড়াইটার দিকে চিকারকান্দি গ্রামের হাজীবাড়ীতে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে এই গ্রামের তারিছ মিয়া, আমরোজ মিয়া, শাবাজ মিয়া, ছমরু মিয়া, রিপন মিয়া, আহাদ মিয়া, আব্বাস মিয়া, সিতার মিয়া ও সুজাত মিয়ার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, তারিছ মিয়ার খড়ের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে, ফায়ার সার্ভিসের ধারণা ইলেকট্রিক শক্ সার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে। এসময় বসতঘরে থাকা ১টি গরু, ৭শ মন ধান, নগদ টাকা, কাপড়, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত হাফিজ সবুজ আহমদ ও তারিছ মিয়া বলেন, আমাদের চোখের সামনেই সবকিছু ঘটে গেলো। একজন লোক বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন। সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছে। তারা এখন কোন আশায় বাঁচবে।
শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো.জিসান রহমান নাবিক বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা চেষ্টা করেছি। পাশের ঘরগুলো রক্ষা করতে পেরছি। ৯টি ঘর পুড়েছে। একজন মানুষও মারা গেছেন বিদ্যুতায়িত হয়ে। ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লক্ষ টাকা হবে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী বলেন, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সহায়তা করে।সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশি নজরদারি অব্যাহত আছে।