শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে আধুনিকরূপে তৈরি করা হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সৈয়দ মুজতবা আলী হল। বুধবার দুপুরে সৈয়দ মুজতবা আলী হল পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট নিরসনে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে আধুনিকরূপে এই হল তৈরি করা হচ্ছে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যেসব ভবন হবে সবগুলো আধুনিকায়ন করে তৈরি হবে। বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণার পাশাপাশি অবকাঠামোগত দিক দিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে। পরিশেষে শাবিপ্রবিকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে হল চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এতে হলের খাবারের মান, পড়াশোনার পরিবেশ, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে হলের পুরাতন ব্লকটি রং করে প্রতিটি ওয়াশরুমে টাইলস বসানো হয়েছে। হলের সৌন্দর্য বর্ধনে চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফলজ গাছের বাগান করা হয়েছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সুন্দর একটি পরিবেশে পড়াশোনা করুন।
পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, মেডিকেলে প্রশাসক অধ্যাপক ড. কবীর হোসেন, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মোহম্মদ মহিবুল আলম, শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মোহম্মদ সামিউল ইসলাম, প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রভোস্ট এস এম সাইদুর রহমান, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. ওয়াশেক মিয়া, সহকারী প্রক্টর শফিউল হোসেন, তাসনিয়া মিজান চৌধুরী, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।