সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ^রীপুর ইউনিয়নের ঈশ^রীপুর, বংশীপুর, ধূমঘাট, পাতড়াখোলা, পশ্চিম ধূমঘাট মুন্ডাপাড়া সহ অন্যান্য গ্রামের কৃষকরা জীববৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি চর্চায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
কৃষকরা স্থানীয় জাতের ফসল চাষ, জৈব সার উৎপাদন, জৈব প্রযুক্তিতে বালাই নাশক তৈরী ও ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিপনন করা, বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা, জেন্ডার সমস্যা সমাধান করা, কৃষক স্কুল তৈরী করা, মানবাধিকার, পরিবেশ, জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা ও বৃক্ষ রোপন করা এ সকল বিষয়ে যুবদের সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজ গুলি তারা বেসরকারী সংগঠন রিইবের সহায়তায় গণ গবেষণা দল তৈরী করে দল ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। কৃষক খলিলুর রহমানম, অসীম সাহা, যুবক বিপ্লব ঘোষ সহ অন্যান্য বলেন বর্তমান সময়ে রাসায়নিক সার কীটনাশকের প্রতি নির্ভর না হয়ে জৈব কৃষি চর্চা খুবই প্রয়োজন। প্রত্যেক কৃষক এক একজন কৃষি শ্রমিক। কৃষি শ্রমিকরা দিন রাত পরিশ্রম করে কৃষির চিত্র পাল্টে দিতে পারে।
পাতড়াখোলা, বংশীপুর গণ গবেষণা দল পাতড়াখোলা স্কুলে জৈব কৃষি প্রদর্শনীর প্লট তৈরী করে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান করছেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক চর্চায় গান , নাটক, কবিতা আবৃত্তি অনুশীলন করছেন। এর পাশাপাশি জৈব কৃষি প্রচারে দেয়াল লিখন করে কৃষকদের ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি করছেন।
ধূমঘাট প্রচেষ্টা জৈব কৃষি বিস্তার গণ গবেষণা দল যুবদের উদ্যোগে ধূমঘাট ভীম মোড়লের বাড়ী হতে খলিলের মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে বজ্রনিরোধে তাল সড়ক তৈরী করেছেন। বংশীপুর গণ গবেষণা দল জৈব কৃষি প্রচারে দেওয়াল লিখন শুরু করেছেন। পাতড়াখোলা গণ গবেষণা দল জীব বৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি চাষ শুরু করেছেন। কৃষি বিপনন কেন্দ্র তৈরী করেছেন বিলকিস নাহার।
ধূমঘাট গ্রামের যুব দল রাসায়নিক সার ও বিষ কিভাবে ক্ষতি করছে তার উপর প্রতিবেদন তৈরী করছে।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সকল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জার্মানীর রোসা লাক্সেমবার্গ স্টিফ্টুং এর প্রোগ্রাম অফিসার বিনোদ কস্টি, রিইবের পরিচালক সুরাইয়া বেগম, ডকুমেন্ট অফিসার সৈয়দ নাভিদ আনজুম হাসান ও গবেষণা সহকারী চৈতন্য দাস।
পরিদর্শনকালে তারা বলেন জীব বৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি বিস্তারে গ্রাম গুলির কৃষক ও যুবদের উদ্যোগ প্রশংসনিয়। বিশেষ করে যুবদের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান। তারা বলেন যুবরা কৃষিতে ভূমিকা রাখলে জৈব কৃষির প্রসার ঘটবে।