ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকারি সড়কে পার্কিং‘র মাধ্যমে লাখ টাকার ব্যবসা করছেন চাঁদাবাজরা।

শান্ত ইসলাম দিপু, চট্টগ্রাম : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১১:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
  • দৈনিক গাড়ি প্রতি চাদা ১০০ টাকা
  • বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে থেকে আসছে ট্রাকগুলো..  

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজীদ এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাস্তার উপর স্থায়ী স্টান্ড তেরি করছেন ট্রাক চালকেরা। চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড় থেকে শুরু করে বাংলাবাজার,টেক্সটাইল ,রুবিগেট, বিএস,আর,এম রোডসহ টেকনিক্যাল মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দখল করে স্থায়ী স্টান্ড তৈরি করছেন চালকেরা। 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব স্ট্যান্ডের কোনো বৈধ অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর এসব স্ট্যান্ড টিকে আছে। মানুষ এবং গাড়ি চালকদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব স্ট্যান্ড। অপর দিকে, এই স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রকেরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। 

 

টেক্সটাইল  থেকে রুবিগেট স্টীল মিল রোড পর্যন্ত  গড়ে উঠেছে অবৈধ  ট্রাক,ও পিকআপ এর স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ড দিয়ে  বিভিন্ন স্থানে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা চলাচল করে। এই স্ট্যান্ডের কোনো অনুমোদন নেই বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। স্টান্ড গুলো রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে  গড়ে উঠেছে। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  এক চালক বলেন,  এই রাস্তার পাশে গাড়ি রাখতে হলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ করে টাকা দিতে হয় সোহাগ নামক এক ব্যাক্তিকে.. 

 

জানা যায়, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে থেকে ট্রাকগুলো এসে পার্কিং করার সাথে সাথে সোহাগ নামক এক ব্যক্তি দৈনিক রাত প্রতি ১০০ করে টাকা নেয় এবং দাড়াওয়ান ভাড়া বাবত ৩০ টাকা করে নেয়। তিনশতাধিক গাড়ি থেকে দৈনিক ১৩০ টাকা আদায় করলে তা মোট অংকে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার টাকা। মাসিক এই টাকার অংক দাঁড়ায় ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।  

 

চট্টগ্রাম নগররে অবৈধভাবে এসব স্ট্যান্ডের পেছনে রয়েছে লাখ লাখ টাকার লেনদেন। নিরবেই ঘটছে চাঁদাবাজি। এসব চাঁদাবাজি নিয়ে কোনো অভিযোগও নেই কারো। গাড়ির মালিক-চালকেরা অবৈধভাবে রাস্তা আটকে স্ট্যান্ড বানিয়েছে। আর কতিপয় পুলিশ ও মাস্তানরা তার বিনিময়ে পাচ্ছে টাকা। কে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে? এতে পথচারীরা ও সাধারণ চালকের পড়ছেন বিপাকে। রাস্তার এই দুই পাশে গাড়ি রাখার কারনে দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা ও সাধারণ চালকেরা। রাতের আধারে এই গাড়িগুলো রাখা হয় প্রধান সড়কে।  রাতের গভীরতা বাড়লে  অক্সিজেনের মোড় থেকে রুবিগেট স্টীলমিল রোড  পর্যন্ত যে যেভাবে পারে রাস্তার ওপর রেখে দেয়। এতে  দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

এই সব বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর ট্রাফিক বিভাগের  ট্রাফিক ইনচার্জ মোঃ আলমগীরকে  জিজ্ঞেসা করলে তিনি  বলেনঃ পুলিশ কমিশনার ও ডিসি স্যারের সাথে এই যোগাযোগ করেন.. 

 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর ট্রাফিক বিভাগের  উপ- পুলিশ কমিশনারের মুঠোফোনে ফোন করলে, তিনি ফোন  রিসিভ করেননি।