ঢাকা, সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১

সিলেটের স্র্যাক মা ও শিশু ক্লিনিকের এমডি কয়েছ পলাতক

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের স্র্যাক মা ও শিশু ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কয়েছকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। গত দুইদিন ধরে পলাতক আছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে কয়েছকে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

ওই ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে গুরতর অবহলোর অভিযোগ উঠেছে। একটি শিশুর খৎনাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির পিতা ইউনুস আহমদ। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে স্র্যাক ক্লিনিকের লাঠিয়াল বাহিনী নানান ধরণের হুমকী দিচ্ছে ইউনুস আহমদকে।

 

 

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মুক্তিরচক গ্রামের ইউনুস আহমদ তাঁর সন্তান নাজমুস সাকিব জিহান (৫) কে গত ১৮ এপ্রিল স্র্যাক মা ও শিশু ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ওই দিন বিকেলে জিহানের খৎনা সম্পন্ন করেন জুনায়েদ ও রুমন ব্যানার্জি। খৎনা শেষে ছাড়পত্র দিয়ে বিদেয় করা হয়। জানিয়ে দেয়া হয় তিনদিনের মধ্যে খৎনা শুকিয়ে যাবে। বাড়ি ফেরার তিনদিন পর জিহানের খৎনা স্থান দিয়ে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ শুরু হয়।

 

অভিযোগে বলা হয়, ওই অবস্থায় জিহানের পিতা ইউনুস আহমদ যোগাযোগ করেন স্র্যাক ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোনো ধরণের সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে খারাপ আচরণ করে বিদেয় করে দেন। শিশুটির জীবন রক্ষার জন্যে ২২ এপ্রিল সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে জরুরি অপারেশন করা হয় জিহানের। কিন্তু এখনো শিশু জিহানের খৎনা স্থান স্বাভাবিক হয়নি।

 

অভিযোগে বলা হয়, জিহানের খৎনা করার কথা ছিল এমবিবিএস ডাক্তার দিয়ে। কিন্তু তা না করে যেনতেন দুইজন কর্মচারি দিয়ে খৎনা করিয়েছে। এই অবস্থায় শিশু জিহানের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।

 

শিশুটির পিতা ইউনুস আহমদ বলেন, তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এই ক্লিনিকের অপচিকিৎসায় আর যাতে কোনো শিশুর ক্ষতি না হয় সে জন্যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার  ১৫ মে মামলা রেকর্ড করা হয়।