১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও, মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’। ১৯৫০ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বের সব দেশে দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দিবসটি পালন করে ১৯৪৮ সাল থেকে।
দিবসকে কেন্দ্র করে সিলেটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসকের প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা শেষে র্যালীটি বের হয়ে নগরীর বন্দরবাজার হয়ে পূনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা ও মানবাধিকারের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের পবিত্র সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করেছিলেন আর বঙ্গবন্ধুকন্যা সেই অধিকারগুলোকে বাস্তব রূপ দিচ্ছেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অনেক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। অধিকার নিশ্চিত হয়েছে নারী-পুরুষ সবার। এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীও সমান অধিকার ভোগ করছে। মানুষের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যামামলার রায়ের কথা উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু মাত্র এক বছরের মধ্যে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন, যার নজরে কোথাও নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিনহা, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সাবেক মহানগর কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।