সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ৩য়, মধ্যনগর ইউনিয়নে ৩য় এবং সেলবরষ ইউনিয়নে ৪র্থ স্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীসহ ৫ম ধাপে সুনামগঞ্জের ১৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএস রহমত (টেবিলফ্যান) পেয়েছেন ২১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল আলিম (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ১৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪০ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (ঘোড়া) পেয়েছেন ১১৩২ ভোট। সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে কেউ জামানত হারান নি।
সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত লাল তালুকদার (ঢোল) ১২৬৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম (চশমা) ২০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সৈয়দ হোসেন (ঘোড়া) ১২২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন চন্দ্র সরকার (আনারস) ১৩৪৩ ভোট পেয়েছেন।
জয়শ্রী ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইসহাক (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ৫০৭ ভোট।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব বিশ্বাস (আনারস) পেয়েছেন ১২০৭ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আজিম মাহমুদ ৩য় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪১৬৭ ভোট।
মধ্যনগর ইউনিয়নে কেউ জামানত হারান নি। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী প্রবীর বিজয় তালুকদার ৩য় অবস্থানে ছিলেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩০২৯।
সেলবরষ ইউনিয়নে কেউ জামানত হারান নি। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সুলতান তালুকদার ২০৬২ ভোট পেয়ে ৪র্থ হয়েছেন।
চামরদানি ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাদীস মিয়া (টেবিলফ্যান) পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল হক (ঘোড়া) পেয়েছেন ৯৯০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোস্তাফা কামাল খোকন (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১৩৮৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওয়াশীল আহমদ (আনারস) পেয়েছেন ১০১৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুস সামাদ তালুকদার (টেলিফোন) পেয়েছেন ২৪৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিল্টন তালুকদার (চশমা) পেয়েছেন ৯৪০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রাথী প্রভাকর তালুকদার (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ১১৪৬ ভোট। পাইকুরাটি ইউনিয়নে কেউ জামানত হারান নি।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে জামানত হারাবেন ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫২ ভোট।
জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ৩ চেয়ারম্যন প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী অজিত রায় (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১২৩১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশহাদুর রহমান (চশমা) পেয়েছেন ১০৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুদ আলম মকসুদ (আনারস) পেয়েছেন ৪৮৫ ভোট।
সাচনাবাজার ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ৪ চেয়ারম্যন প্রার্থী। জাতীয় পার্টির আলী নুর আলম (লাঙল) পেয়েছেন ১১৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিদ্যা রতন বিশ্বাস (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ৭৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিছবাহ উদ্দিন (আনারস) পেয়েছেন ৫৯১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রাথী মো. সেলিম আহমদ (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১২৫৭ ভোট।
ভীমখালী ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ১ জন চেয়ারম্যন প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ২১২ ভোট।
ফেনাবাক ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন ১ জন চেয়ারম্যন প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী পীযুষ কান্তি তালুকদার (আনারস) পেয়েছেন ৫৯২ ভোট।
এদিকে শাল্লা উপজেলার ২ নং হবিবপুর ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ঝুমন দাশ ৯৬৩ ভোট এবং রাজীব কান্তি দাস ৪৮৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
৩ নং বাহাড়া ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ১ জন। জাতীয় পার্টির (লাঙল) প্রতীকে মাধবী রানী তালুকদার পেয়েছেন ১২৬ ভোট।
৪ নং শাল্লা ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। মো. শহীদুল ইসলাম (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৬৩ ভোট এবং সমরেন্দ্র সরকার মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১১২ ভোট।
শাল্লা উপজেলার ১ নম্বর আটগাঁও ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরা হলেন মাফিকুল ইসলাম (চশমা), তিনি পেয়েছেন ২৬১ ভোট, মাসুদ আল কাওছার (টেলিফোন) ১৬৪ এবং মো. সুলতান মিয়া ( মোটর সাইকেল) ৩২৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।