ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাই ও দুলাভাইকে মারপিট

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:১৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
রাজশাহীর বাঘায় নবম শ্রেীনী পড়া এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করা-সহ প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর ভাই এবং দুলাভাইকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। আহত দু’জনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন বিকেলে উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
 
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগসায়েস্তা গ্রামের এক স্কুল ছাত্রী পাশ্ববর্তী সরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীতে পড়া-লেখা করে। সেই সুবাদে ঐ ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে প্রায়স: উত্যক্ত করা সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো বামনডাঙ্গা গ্রামের শামসুল হকের পুত্র মামুন(২২)। সে এ কথাও বলেছিলো যে, তুমি যদি এ বিষয়ে কাউকে জানাও তাহলে তোমার একমাত্র ভাইকে খুন করা হবে । 
 
সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় ঐ ছাত্রী স্কুল থেকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে স্কুলে নির্মিত  শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী এবং আলোচনা সভা শেষে বাড়ী ফেরার পথে ইফটিজার মামুন তাকে একা পেয়ে হাত ধরে টানা-হেচরা করে এবং জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় । এ ঘটনার পর নিরুপায় হয়ে ঐ ছাত্রী সেই দিনের ঘটনা সহ পূর্বে বিষয় গুলো তার পরিবারকে জানায়।
 
এদিকে এই খবর শুনে ঐদিন বিকেল ৩ টার সময় স্কুল ছাত্রীর একমাত্র ভাই এবং বড় দুলাভাই মামুনের বাড়িতে গিয়ে তার পিতা-মাতা ও ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদেস্যদের ঘটনা অবগত করেন। মুহুর্তের মধ্যে  মামুন বাড়ি এসে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে  মামুন ও তার ভাই এবং বাবা সহ অগ্যাত নামা আরো দু’জন  মিলে স্কুল ছাত্রীর ভাই এবং দুলাভাইকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে তাদের আহত করেন। 
 
ঘটনার এক পর্যায় সোর-গোল শুনে স্থানীয়(প্রতিবেশী)লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন এবং বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে ভর্তি করেন। যার সত্যতা নিশ্চিত করেন জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি জানান, আহত দু’জনকে রড এবং লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করায় গুরুত্বর জখম সহ পর্যাপ্ত রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। তাদের দু’জনকেই  স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রাখা হয়েছে। 
 
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ১৭  ডিসেম্বর সকালে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন উপ-পরিদর্শক(এস.আই)কে ঘটনা স্থলে পাঠিয়ে ছিলাম। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।