ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সংখ্যালঘুদের তারা নিজ স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে

হাসিনার প্রেতাত্মাদের থেকে নিরাপদ ভাবলে চলবে না : মামুনুল হক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

আওয়ামী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়,তার আসল রূপ হল শেখ হাসিনা ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনীর মতো ছোবল মারতো আর দিনের বেলা সান্তনা দিত। এটা তাদের সাজানো নাটক ছিল। আর এই নাটকের কলাকুশলীরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে  তাহলে এদেশে আর কোনদিন সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। সংখ্যালঘুদের তারা নিজ স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এবং এ বিষয়টিকে তারা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মনে করতো।

রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আহত ও তাদের জন্য দোয়া এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও পতিত স্বৈরশাসকের বিচারের দাবিতে গণ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ খিলাফতে মজলিসের মহসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক ।

তিনি বলেন, এতো তারাতারি শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের কাছ থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবলে চলবে না। শেখ হাসিনার সীমান্তের অপর প্রান্তে ঘুর ঘুর করছে। শুধু সে না সীমান্তের এই পারেও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। সময় সুযোগ পেলেই তারা আবার ছোবল মারবে।

মামুনুল হক আরো বলেন, ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ কায়েম করার লক্ষ্যে আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চাই যে সমাজে থাকবে না কোন বৈষম্য, যে সমাজে থাকবে না কোন অনাহারের আর্তনাদ, যেখানে থাকবে না কোন ভেদাভেদ।

শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে মামুনুল হক বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, নজির বিহীন ভাবে শত শত ছাত্র-জনতাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। সে সকল শহীদানদের আহাদব কবুলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি ও রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। সে সাথে খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে এনে এসব হত্যাকান্ডের বিচার হবে এটাও আমরা দেখবো ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন দেড় মাস যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা এখন রক্ষা করা অনেক কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষা করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই  তবে হাজারো ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাবে। হাজারো মায়ের অশ্রু বৃথা যাবে, তাই সকলকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসা সহ মজলিসের নেতাকর্মী সমর্থক বৃন্দ।