ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২৭৪ রানে আটকে গেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ মে ২০২৩ ০৮:৪৫:০০ অপরাহ্ন | খেলাধুলা

প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন তামিম। শুধুই এই সিরিজ নয়, লম্বা সময় ধরেই অধিনায়কের ব্যাটে বড় রান নেই। বিশ্বকাপের আগে তার এমন ফর্ম ভাবাচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে রানের দেখা পেলেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। দীর্ঘ ৯ মাস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তামিম। অধিনায়কের পাশাপাশি রান পেয়েছেন মিরাজ-মুশফিকও। তাদের ব্যাটে ভর করেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করার পুঁজি পেল বাংলাদেশ। 

চেমসফোর্ডে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৫ রান করেছেন মুশফিক, মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান।

সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মূলত সাকিব আল হাসানের চোটে কপাল খুলেছিল রনি তালুকদারের। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ এই ওপেনার। ওয়ানডে অভিষেকে নিজের খেলা প্রথম ১২ বলে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। তবে ১৩তম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ওয়ানডেতে রানের খাতা খুলেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।

চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থে করেছিলেন মার্ক অ্যাডায়ার। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন তিনি। তাতে ৪ রানে থেমেছেন অভিষিক্ত এই ওপেনার।

আইরিশদের পেসের সামনে রনি ব্যর্থ হলেও তিনে নেমে কাউন্টার অ্যাটাকে সফলতা পান শান্ত। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তুলে বাংলাদেশ। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলটি অফ স্টাম্প থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় শান্তর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় প্রথম স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বার্লবির্নি কোনো ভুল করেননি। তাতে ৭ চারে ৩২ বলে ৩৫ রানে থামতে হয় শান্তকে।

 

৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর দলকে কক্ষপথে রাখেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। তাদের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৫ রান করে লিটন বিদায় নিলে ভাঙ্গে ৭০ রানের তৃতীয় উইকেটি জুটি। ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলটি পঞ্চম স্টাম্প বরাবর খানিকটা শট লেন্থে করেছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। সেখানে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে অফ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন, কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় মিড অফে ধরা পড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রশংসা কুড়ানো তাওহীদ হৃদয় এদিন ব্যর্থ। ২৮তম ওভারের শেষ বলে জজ ডকরেলকে ব্যকফুটে কাট করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। তাতে বল আঘাত হানে তার উইকেটে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ১৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

হৃদয় ফেরার পর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন তামিম। তবে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে উল্টো বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ডকরেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এডজ হয়ে বল উপরে উঠে যায়, তাতে ৮২ বলে ৬৯ রান করে থামেন তামিম।

১৮৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে থাকা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার এদিন সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৪৫ রান করা মুশফিক লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে ভাঙ্গে সেই জুটি। এরপর বেশিক্ষণ আর টিকতে পারলেন না মিরাজও। ৪৭তম ওভারের তৃতীয় বলে অ্যাডায়ারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাম্পারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩৯ বলে ৩৭ রান করেছেন তিনি।

মিরাজ যখন ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটছেন তখন অলআউটের শঙ্কআয় বাংলাদেশ। সেই শঙ্কার মেঘ আরও ঘনীভূত হয়েছে পরের ওভারেই। ৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়েন হাসান মাহমুদ। তার বিদায়ের ঠিক ৩ বল পর গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরেন মুস্তাফিজ। ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয়ও। তাতে ২৭৪ রান তোলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।