ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৬ মাসে পোশাকখাতে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২ জানুয়ারী ২০২৩ ১০:১২:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

 ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে তৈরি পোশাকখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। টাকার অংকে এর পরিমাণ ২২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

 

সোমবার (০২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) অর্থ বছরের প্রথমার্ধের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এই খাতে রপ্তানি আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিটওয়্যার গার্মেন্টস রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১২.৬৬ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় ১৩.৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সময়ে ওভেন গার্মেন্টস থেকে আয় হয়েছে ১০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এছাড়া, বিগত বছরের ডিসেম্বরে মাসে তৈরি পোশাকখাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার, যা একক মাসের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ডিসেম্বর মাসে বিগত মাসের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৫.৭০ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী ২০২১ সালের তুলনায় এই খাতে ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।  

এর মধ্যে নিটওয়্যার গার্মেন্টস থেকে এসেছে ২৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ওভেন গার্মেন্টস থেকে এসেছে ২০.৯৯ বিলিয়ন ডলার। এই দুই ক্যাটাগরিতে ২০২১ সালের তুলনায় যথাক্রমে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা যদি ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করি, এই পরিস্থিতির মধ্যেও এই প্রবৃদ্ধি অর্জন অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান অর্থনৈতিক মন্দা, গ্যাস, তেলের সমস্যার মধ্যেও আমরা যে এরকম প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি, সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সরকারি সহায়তা না থাকলে এই অর্জন সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, এই খাতে যে ভিত্তি মজবুত হয়েছে, মানসিকতা তৈরি হয়েছে অর্থাৎ বিরূপ পরিস্থিতিতেও ভালো করার, আশা করছি আগামী দিনেও আমরা এই প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখতে পারব। চীনসহ অন্যান্য দেশের বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেটা আমরা ধরে রাখত সক্ষম হব। সেই সাথে বিজিএমইএ’র তরফ থেকেও আমরা চেষ্টা করছি নতুন-নতুন পণ্য নিয়ে, নতুন-নতুন বাজার উদ্ভাবন করার। আশা করছি আগামী দিনে আমরা আরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারব।