পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. নুর ইসলাম (৬৬) নামের এক বৃদ্ধকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আ. কাইয়ূমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দশমিনা থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম হাওলাদারকে গত ৩ নভেম্বর সকালে পার্শ্ববর্তী নেহাগঞ্জের সেলিমের চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে পাশের সেতুর ঢালে নিয়ে যান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য সোহাগসহ ছয়জন ও অজ্ঞাত দুই- তিনজন। এ সময় তাঁরা মো. নুর ইসলাম হাওলাদারকে মারধর করে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নুর ইসলামের মেয়ে কহিনুর বেগম বাদী হয়ে গত ৩ নভেম্বর দশমিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় আ. কাইয়ূম, মো. সোহাগ মেম্বর, আ. রহিম বেপারী, মো. শাহজাহান মৃধা, মোছা রুনু বেগম ও মো. রিপন সহ দুই- তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা পালাতক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দশমিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জসিমের নেতৃত্বে এবং গাজীপুর পোড়াবাড়ি র্যাব ক্যাম্পের সহযোগিতায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আ. কাইয়ূমকে গ্রেফতার করে। গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে দশমিনা থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত চত্বরে মামলার বাদী কহিনুর বেগম বলেন, আমার আইনের প্রতি শতভাগ আস্থা আছে। বাবার হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই। জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন কহিনুর।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে নুর ইসলাম সহ বাকি আসামিরা পালাতক রয়েছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় দশমিনা থানা- পুলিশ ও গাজীপুর র্যাবের সহায়তায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আ. কাইয়ূমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।