ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বিএনপি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২২:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

বিএনপি তথাকথিত গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি এ কথা জানান।

 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সর্বস্তরের জনগণ যখন ঈদ উদযাপন করছে, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিটি গৃহকোণ পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা ঠিক সে সময় বিএনপি তথাকথিত গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুলের দেওয়া বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা এবং দায়েরকৃত মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে তথাকথিত নিপীড়ন-নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ বিএনপি নেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুক। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা একজন স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদকসেবী এবং তার বিরদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কিন্তু মির্জা ফখরুল একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ‘বিরোধীদলের ওপর সরকারের নির্যাতন’-এর অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে মোট ১ হাজার ২২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ার এবং পুলিশ হেফাজতে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর।