ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ শেখ হাসিনার অবদান’: বীর বাহাদুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : শনিবার ২০ মে ২০২৩ ১২:৫২:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্যবাসীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সোলার প্যানেল পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অন্ধকারকে দুর করে দিয়েছে। রাতের আঁধারে একসময় দুর্গম পার্বত্যবাসীদের কাছে জোনাকির মিটমিট আলো, হারিকেন ও কুপির আলো ছাড়া অন্য কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্গম পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য এ মুহূর্তে যেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেই সমস্ত পাহাড়ি দুর্গম এলাকা গুলোকে চিহ্নিত করে প্রতিটি ঘরে ঘরে অন্ধকার ঘুচাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে ৩ পার্বত্য জেলায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৪২ হাজার ৫ শত দুর্গম পাহাড়ি পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করে রাতের অন্ধকারকে দূর করেছে। অন্ধকার গুচিয়ে আলোকিত এখন পার্বত্যাঞ্চল।

শুক্রবার (১৯ মে) বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ি দুর্গম এলাকার ৩৩৮ পরিবারের মানুষের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ফলে সেখানকার মানুষ সকল দুর্গমতাকে কাটিয়ে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছে। আগামিতেও পার্বত্য এলাকার যেসমস্ত দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা নাই, সেই সমস্ত এলাকায় বিনামূল্যে সোলার প্যানেল সিস্টেম প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. লুৎফর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।