সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মৃধা গ্রামের বাসিন্দা রাজা মিয়ার পুত্র রেজুয়ান মিয়া (৩০) । গত ২৩ অক্টোবর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থিত মেডিল্যাব হাসপাতালে এসেছিলেন একজন রোগীকে রক্তদান করতে। যথারীতি রক্তদানের পুর্বে মেডিল্যাব হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে রক্তের স্যাম্পল দেন তিনি। ঘন্টাখানেক পর রিপোর্ট হাতে দিয়ে রেজুয়ানকে জানানো হয় তিনি এইচআইভি পজেটিভ। মুহুর্তেই আকাশ ভেঙ্গে পড়ে রেজুয়ান মিয়ার মাথায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে মানসিক ভাবে অসুস্থ পড়েন তিনি।
সোমবার সকালে বন্ধুকে জানান বিষয়টি। বন্ধুর মারফত পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে একইদিন হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান রেজুয়ানকে।
হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের প্যাথলজিতে এইচআইভির রিপোর্ট নেগেটিভ আসে রেজুয়ানের।
এতে রেজুয়ান মানসিকভাবে হন কিছুটা আশ্বস্ত ও তবুও কি মনের সন্দেহ দূর হয় ?
মঙ্গলবার সকালে রওনা দেন সিলেটের উদ্দেশে। বিকালে সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে আবারও রক্ত পরীক্ষা করান রেজুয়ান। সেখানেও তার এইচআইভি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
বুধবার দুপুরে রেজুয়ান মিয়ার অভিভাবকসহ কয়েকজন মেডিল্যাব হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে আসার পর কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয় তাদের। একপর্যায়ে আর্থিক লেনদেনে বিষয়টি শেষ হয় । যদিও আর্থিক রফাদফার বিষয়টি অস্বীকার করেন রেজুয়ানের অভিভাবক।
এ বিষয়ে রেজুয়ান মিয়া বলেন, ‘আমি ২৩ অক্টোবর একজনকে রক্তদান করতে মেডিল্যাব হাসপাতালে যাই। সেখানে আমার রক্ত পরিক্ষা করে আমাকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে জানায় আমার এইচআইভি পজেটিভ। পরে আমি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালে দুই বার পরিক্ষা করে জানতে পারি আমি এইচআইভি পজেটিভ নই।
এ বিষয়ে মেডিল্যাব হাসপাতালের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম জানান- বিষয়টি হয়তো ভুলে হয়েছে। আমাদের টেকনিশায়ন বলেছিলো বড় মেশিনে পরিক্ষা করতে। তিনি তা করেননি।