ঢাকা, সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ঠা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আরিফ কসমেটিক উন্নয়ন করেছেন, অভিযোগ আনোয়ারুজ্জামানের

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৫:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন



সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটে পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে পারেননি। সরকার প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু তিনি কসমেটিক উন্নয়ন করেছেন। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সিলেটে বন্যা হয়ে যায়। তার উন্নয়নের সুফল নগরবাসী পায়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরের একটি কনফারেন্স হলে মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরী সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগ করেন, আরিফুল হক চৌধুরী ২৮শ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু, সে অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হয়নি।

আসন্ন সিটি নির্বাচনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরবাসী নৌকার প্রার্থীকে গ্রহণ করে নিয়েছেন।

পরিবর্তিত নগরে শহর রক্ষা বাঁধ, নগরজুড়ে ওয়াইফাই, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, হাইস্পিড ট্রেন চালুর মাধ্যমে স্মার্ট নগর গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে চলছে উন্নয়নের জোয়ার। সেই জোয়ারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনও থাকার কথা। সেজন্য সরকার গত ১০ বছরে প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও হয়নি এখানে। বরং বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দিনেদিনে জনদুর্ভোগ কেবল বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সদস্যকে একেকজন নৌকার মাঝি হিসাবে মাঠে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। বিশেষ করে সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ সমস্যা, শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণসহ পরিকল্পিত নগরায়নের স্বার্থে এবং নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হলে নগরভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা জরুরী। আর তা করতে হলে সবাইকে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইতে হবে।

এসময় নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরিফুল হক চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, এবারের নির্বাচনে সিলেটবাসী মেয়র পদে পরিবর্তন চান। আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে এলেও তারা নৌকার জয় নিশ্চিত করবেন।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, গত দুই মেয়াদে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আছেন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। এবার মানুষ পরিবর্তন চায়। কারণ, তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ। তাই এবার তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী নৌকার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন দলের নেতা কর্মীরা।

আনোয়ারুজ্জামান আরও বলেন, সিলেটের সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ তাদের প্রার্থী হিসাবে আমাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলে বা কাজ করলে শুধু সিলেট নয়, দেশের যেকোনো নির্বাচনেই বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার এবং জনগণের দ্বারেদ্বারে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা এ ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশ দেন।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন সহসভাপতি, মফুর আলী, আসাদ উদ্দিন আহমদ, আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নূরুল ইসলাম পতুল, প্রদীপ ভট্টাচার্য, মো. সানাওর, জগদীশ দাশ, সহ সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, মোখলেছুর রহমান কামরান, খোন্দকার মহসিন কামরান, নজমুল ইসলাম এহিয়া, আব্দুর রহমান জামিল, আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, আসমা আহমদ, মো. জুবের খান, সেলিম আহমদ সেলিম, ইলিয়াছুর রহমান, আজিজুল হক মঞ্জু, রজত কান্তি গুপ্ত, ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম, অ্যাডভোকেট ছালেহ আহমদ সেলিম, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, সোয়েব আহমদ, লায়েক আহমদ চৌধুরী সদস্য- আজম খান, আব্দুল আহাদ মিরন, প্রিন্স সদরুজ্জামান, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, নেরুননেছা হেনা, মো. শাহজাহান, মুক্তারখান, অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ সরোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদিপ দে, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোখশানা পারভিন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, লিপন বক্স, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, আতিকুর রহমান সুয়েদ, শিপা বেগম, অ্যাডভোকেট তারান্নুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক।

সভায় অচিরেই বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।