চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নাশকতার সাথে জড়িত থাকার দায়ে কক্সবাজার জেলায় আরো দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দু'টিতে আসামী করা হয়েছে ৫৬ জনকে। গত রাতে এ মামলার অধিনে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর রাতে ৩৫ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি ও ২১ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরক উপাদান দ্বারা নাশকতা ও অর্ন্তঘাতমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা ও ১৩২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরক উপাদান দ্বারা নাশকতা ও অর্ন্তঘাতমূলক কাজে জড়িত থাকার ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর অনুমান রাত সাড়ে ১১ টার সময় র্যাব-১৫ সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল কক্সবাজার পৌর শহরের কলাতলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে দু'আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আাসামীগন কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করতঃ অজ্ঞাতনামা আসামী করে রুজু করা ১৫ (৩) বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ তৎসহ ৩ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইন-১৯০৮ ধারায় ৫২/৬০০ নং মামলার অজ্ঞাতনামা আসামী বলে জানান র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী। অজ্ঞাত আসামীরা হলেন ১। ওসমান গনি (২৬), পিতা-আব্দুল গফুর, সাং-নতুন ফিসারীপাড়া (বিমানবন্দর সড়ক), ২নং ওয়ার্ড ও ২। মোঃ নুরুল আলম (৪৭), পিতা-শফিক আলম, সাং-দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া, ৭নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন,
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যে কোন ধরনের নাশকতা, অনাকাঙ্খিত, অপ্রীতিকর ও অরাজকতামূলক পরিস্থিতি এড়াতে র্যাব তৎপর রয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক ও জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষার জন্য র্যাব-১৫ এর দায়িত্বাধীন কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষে র্যাবের আভিযানিক দল সদা অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করছে।