নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন দলের নিয়মিত সদস্য নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। তার নিজ জেলা কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমি'র পক্ষ থেকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়াম মাঠে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেল এর এক তারকা অর্জনকারী কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমি থেকে স্বর্নকন্যা নিলুফা ইয়াসমিন নীলা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সুমন সরকার, সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক খন্দকার মুমিনুল ইসলাম কাজিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের খন্দকার উজ্জ্বল, সাবেক খেলোয়াড় হেলাল উদ্দিন, শিশির মোল্লিক, শরিফুল ইসলামসহ একাডেমির খেলোয়াড়বৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় আকরাম হোসেন।
নিলুফা ইয়াসমিন নীলা বলেন, কুষ্টিয়া জেলা থেকে জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত। কুষ্টিয়াতে যখন নারীদের খেলা কঠিন ছিলো তখন ফাত্তা ভাই এর হাত ধরে থানাপাড়ার চরের মাঠে খেলা শুরু করি। এরপর আসি কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমিতে। ভয়কে জয় করে দেশবাসীকে কিছু উপহার দিতে পেরেছি সে জন্য আমি আনন্দিত। কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমি থেকে আরো বেশী নারী ফুটবলার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে আশা করি।
প্রধান অতিথি সুমন সরকার বলেন, কুষ্টিয়ায় খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ইন্জিনিয়ার জাকির সরকারের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। জেলার তৃনমুল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তুলে এনে প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার যোগ্য করে গড়ে তোলা হবে। কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমি আরো বেশী করে খেলোয়াড় তৈরীর কাজ করবে বলে আশাবাদ প্রকাম করেন।
কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ মোঃ আকরাম হোসেন জানান, কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমি খেলোয়াড় তৈরীতে কাজ যাচ্ছে। এখান থেকে ছেলে ও নারী খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দলে ও ঢাকার ক্লাবে খেলা করছে। বিনা পারিশ্রমিকে প্রায় শতাধিক ফুটবলার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও থানা থেকে এসে কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে।
নীলাকে দেখতে স্থানীয় অনেক মানুষ ভিড় করেন অনেকেই তার সাথে সেল্ফি তুলতে ইচ্ছা প্রকাম করেন। নীলাও ভক্তদের ইচ্ছা পুরন করেন।