সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শিলেরভাঙা গ্রামে হাসিনা বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বজনরা অভিযোগ করছেন, স্বামী মোশাহিদ আলী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় সিলেট নগর থেকে স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীকে সমর্থন নিয়ে দ্বন্দ্বে শনিবার এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
হাসিনা বেগমের ফুফাত ভাই শিব্বির আহমদ অভিযোগ করেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই মেম্বার প্রার্থীকে সমর্থন নিয়ে স্বামী মোশাহিদ ও স্ত্রী হাসিনা বেগমের (৩৫) দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে নির্যাতন করে স্বামী মোশাহিদ।
তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, সালিশে বিষয়টি মীমাংসা হয়। নিহত হাসিনা বেগমের চাচা বর্তমান মেম্বার এক পর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। কিন্তু, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে স্ত্রীকে নির্যাতনের এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন স্বামী। কিন্তু, স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান।
খবর পেয়ে হাসিনা বেগমের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘গলা কেটে গেছে, দড়ির চিহ্ন আছে। তাই, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে নারী আত্মহত্যা করেছেন। তবে, এটি হত্যা কি না তা ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যাবে। ময়না তদন্তের জন্য নারীর লাশ ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এদিকে, মোশাহিদ আলীকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিলেট নগরের দর্শনদেউড়ি থেকে আটক করেন নিহতের স্বজনরা। তাকে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেন। এ বিষয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান, বিকেলে মোশাহিদকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে, নিহতের পরিবার থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা এসআই হেলাল আহমদ। তিনি জানান, মোশাহিদকে থানায় রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।