পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ দাবি করেছেন, সরকার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত সরকার বাতিল করবে। তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নয়, বরং আসনের সমান সংখ্যক যাত্রী নিয়েই বাস চলবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে এনায়েত উল্যাহ বলেন, সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলাম আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন যে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে হবে। এই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বাসভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন।
২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। সে সময় অর্ধেক যাত্রী নিয়েই গণপরিবহন চলাচল করেছিল। তখন পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। সেই উদাহরণ তুলে ধরে এনায়েত উল্যাহ তখন বলেছিলেন, বর্তমানে যে বাসভাড়া আছে, সেই ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করলে তেলের পয়সাও উঠবে না।
ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। কিন্তু বৈঠকে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়েই বাস চালানোর সরকারি আদেশ পালনের কথা বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামী শনিবার থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের কথা।
তবে তার আগেই পরিবহন মালিক সমিতির এই নেতা আসনের সমান সংখ্যক যাত্রী নিয়েই গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।
এদিকে, দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের চেয়ে তিনগুণ। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১২৩ জনে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ৩ হাজার ৩৫৯ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৬৪ জনে।
এর আগে, বুধবার (১২ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৯১৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, করোনা মহামারির নতুন ঢেউয়ে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ৭৮ শতাংশের বেশি ঢাকা শহর ও ঢাকা জেলার বাসিন্দা।