আবারও সিলেটের গোলাপগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত লোকজন। এরমধ্যে নিম্নাঞ্চল এলাকার মানুষ হঠাৎ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বাড়ীঘর ছেড়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
এরমধ্যে মঙ্গলবার উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৫০-৬০টি অসহায় পানিবন্দি পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে। এছাড়া বুধবারীবাজার, ভাদেশ্বর, ঢাকাদক্ষিণ, আমুড়া, শরীফগঞ্জ ও বাদেপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন ন্ন গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ায় আশংকায় রয়েছেন শত শত পরিবার।
এদিকে পানিবন্দি লোকজনদের বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়াশ জন্য বার বার বলা হলেও লেকজন যেতে নারাজ।
জানা যায়, বন্যায় উপজেলার বুধবারীবাজার, শরীফগঞ্জ, বাদেপাশা, ঢাকাদক্ষিণ, আমুড়া ও বাঘা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় লোকজনদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতংক।
বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুর, লালনগর, মজিদপুর, জালালনগর, খালপাড়, তুড়ুভাগ, নলু, পূর্বগাও, এখলাছপুর, কালাকেনাসহ ১৫/২০টি গ্রামের লোকজন হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি। এসব গ্রামের প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দু হাকিম পারভেজ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমিসহ কয়েকজন মেম্বার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছি।
এদিকে ৫৭টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১০-১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ২০টি পরিবার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ব্যপারে আমরা সবসময় খোজ খবর নিচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, মঙ্গলবার বুধবারীবাজার, ফুলবাড়ীসহ কয়েকটি বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। তাদেরকে রান্না করা খাদ্য ও শুকনো খাদ্য দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মেডিকেল টিমও কাজ করছে।