চিকিৎসকদের অবহেলায় গর্ভাবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষকের সন্তান মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়নে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চবির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক। গত ১৯ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে চবির সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, তাঁর স্ত্রীর ডেলিভারির সময় এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাফিলতি করেছে।
তিনি জানান, “যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আমার স্ত্রী ছিলেন, সেই ডা. সানজিদা কবির অনেক দেরিতে হাসপাতালে এসেছেন।” আমার স্ত্রীর সব রিপোর্টই ঠিক ছিল। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম যে নর্মাল ডেলিভারি সম্ভব না হলে, সিজার করে ফেলতে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চা মারা যাওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে পারেনি।
তিনি জানান, ১৯ ডিসেম্বর রাত ৪টার দিকে সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিকের স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে, তারা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। ডা. সানজিদা কবিরকে ফোন করে জানানোর পর তিনি জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে বলেন এবং শীঘ্রই আসবেন বলে জানান। কিন্তু ডা. সানজিদা কবির সাড়ে ৯ টায় হাসপাতালে পৌঁছান। অবশেষে রাত ১০টা ৫২ মিনিটে নবজাতক মৃত্যু অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। ডা. সানজিদা কবির আসার আগেই সাধারণ ডাক্তারদের আনাড়িপনায় গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়, বলে দাবি করেন তিনি।
আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, “সুস্থ শিশুর হার্টবিট হঠাৎ কেন বন্ধ হয়ে গেল, তার কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা তারা দিতে পারছেন না হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন সানজিদা কবিরকে আসতে আদেশ না করে সাধারণ ডাক্তার দিয়ে ডেলিভারির ব্যবস্থা করলেন তাও পরিষ্কার নয়।”
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ