চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর গুলি বর্ষনের অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্র জনতার উপর চালানো তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি ছিল বিদেশি পিস্তল। মূলত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবেই এলাকাজুড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতেন তিনি।
সোমবার চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন। এরআগে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ফেনী সদরের সুলতানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিএমপি সূত্র জানায়, মিঠুন পাঁচলাইশের কাতালগঞ্জ ও চকবাজার এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সরকারি জমির অবৈধ দখলদার, টেন্ডারবাজ ও ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী।
উপ-পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন জানান, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন দুপুরে ষোলশহরের চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মিঠুন তার সহযোগীদের নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালায়। এছাড়া ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
পরদিন মিঠুন নিজে অস্ত্র হাতে গুলি করছে, এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি। সেখানে সে আত্মগোপনে ছিল।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল। আমাদের পাঁচলাইশ থানার একটি আভিযানিক দল দীর্ঘদিন তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে আসছিল। সর্বশেষ রোববার ফেনীর সুলতানপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা আমরা পেয়েছি। যেহেতু সে এমন কর্মকান্ডে জড়িত ছিল সুতরাং এখানে যে হত্যাকান্ডগুলো হয়েছে, ছাত্র-জনতার ওপর যে হামলা হয়েছে সেসব ঘটনায় যদি তার সম্পৃক্ততা থাকে সে মামলাগুলোয় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।