২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দশঘর মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতির দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় সিলেটের বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালামসহ ১৮ আসামিকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
রোববার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়েল মেজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে শুনানী শেষে অভিযুক্তদের বেখসুর খালাস প্রদানের রায় দেন ওই আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী।
এর আগে ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি উপজেলার চাউলধনী হাওরের লীজকৃত জলমহাল কান্দিবিলে চাঁদাবাজির অভেযাগ এনে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়েল ৩ নম্বর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নম্বর ২০/২০২১ইং জিআর নম্বর ৩০/২০২১ইং)। মামলাটি দায়ের করেন দশঘর মৎস্যজীবী সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল (৬০)। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কামারগাঁও (খাগটিয়া) গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় দশঘর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদকে। এছাড়া ওই মমালায় আসামি করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ‘চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটি’র সভাপতি মীরগাঁওয়ের আবুল কালাম (৫০), আন্দোলন কমিটির সদস্য-সচিব পাড়–য়া গ্রামের বাবুল মিয়া (৪৫), আন্দোলন কমিটির উপদেষ্ঠা মৌলভীরগাঁও গ্রামের মাওলানা ছমির উদ্দিনসহ (৫৫) সর্বমোট ১৮জনকে।
জানাগেছে, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি নিজ নিজ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে সিলেট, বিশ্বনাথ, স্থানীয় দশঘর নিউমাকেট ও মাছুখালী বাজার, চাউলধনী হাওরসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মব্যস্থ ছিলেন অভিযুক্তরা। অথচ, ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কান্দি বিলের টংঘরে গিয়ে ১ লাখ টাকার মাছ, ৪৫ হাজার টাকার পানি সেচের মেশিন জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে ওই ১৮ জনকে ১৮ লাখ টাকার মাছ দেওয়ার জন্য হুমকির অভিযোগ আনা হয়। এসকল অভিযোগ এনে ২৬ জানুয়ারি মামলা করেন আব্দুল জলিল। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই বছরের এপ্রিল মাসে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বিশ্বনাথ থানা পুলিশের তৎকালীণ তদন্ত ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ.এস.এম আব্দুল গফুর বলেন, বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তদের কোন সম্পৃক্ততা না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী ১৮ জনকেই বেখছুর খালাস প্রদান করেছেন।