ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চা-শিল্পে অশনি সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৮ অগাস্ট ২০২২ ১০:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের শ্রমিক ধর্মঘটে হবিগঞ্জের ২৫টি চা-বাগানে উৎপাদন বন্ধ। এতে ফ্যাক্টরিতে পড়ে থাকা পাতা নষ্ট হওয়াসহ গাছে থাকা কুড়ি গুণগত মান হারাচ্ছে। জেলার চুনারুঘাট উপজেলার চাঁনপুর বাগানে উত্তোলন করা পাতা প্রক্রিয়া করতে না পারায় ফ্যাক্টরিতে থেকে শুকিয়ে যেতে দেখা গেছে।

এখন দিনে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কেজি পাতা উৎপাদনের কথা থাকলেও শ্রমিকরা কাজে না আসায় উৎপাদন শূন্য বলে জানিয়েছেন বাগানটির ব্যবস্থাপক মো. শামীম হুদা জানান।  

একই অবস্থা জেলার সবকটি বাগানেই। চা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলাটির নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় ফ্যাক্টরিযুক্ত চা-বাগান ২৫টি ও ফাঁড়িসহ সব মিলিয়ে বাগানের সংখ্যা ৪১টি। এগুলোতে জমির পরিমাণ ১৫ হাজার ৭০৩ হেক্টর। বছরে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেটি সম্ভব হবে না শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে। বাগানগুলোতে যা উৎপাদন হয়েছিল সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 তারা আরও জানান, এ বছর বাগানগুলোতে প্রচণ্ড গরমে বিপর্যয় দেখা দেয়। পোকামাকড়ও আক্রমণ করছে। নতুন সমস্যা হিসেবে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিংও। এমন সময়ে শ্রমিক ধর্মঘট চা শিল্পের জন্য অশনি সংকেত। দেশের ২৩১টি বাগানে চা-পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকায় দিনে ২০ কোটি টাকা মূল্যে চা-পাতা নষ্ট হচ্ছে বলে ধারণা তাদের।

 চা-শ্রমিকরা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু এখনও চা-শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। গত বছর চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক মজুরি ৩শ টাকা করার কথা। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

 এজন্য গত ১০ আগস্ট থেকে দিনে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন চা-শ্রমিকরা। এরপর চা-শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের বৈঠক বলেও সমঝোতা না হওয়ায় দুই দিন পর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে।