ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

চেয়ারম্যানের পিটুনিতে যুবকের মৃত্যু, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল, থানা ঘেরাও

নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, ফেনী : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:১৫:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুর পিটুনিতে শাহীন চৌধুরী নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টোকে প্রধান আসামি ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাহিদ হোসেন সহ ৬জনকে এজহার নামিয় এবং অজ্ঞাত ৭/৮জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছে নিহত শাহীনের পরিবার।

পুলিশ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুর সহযোগী এনায়েত হোসেন (আকাশ-২২) আবদুর রহিম(২৫), মোঃ আজিম(২১),মোঃ- আরিফ ৪জন কে আটক করেছে।

মামলার এজাহার নামীয় আসামি আবুল হাশেম ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টু ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

 

এদিকে শুক্রবার সকালে শাহীন চৌধুরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টোকে গ্রেফতারের দাবিতে পরশুরাম-সুবার বাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

২৪ ডিসেম্বর(শুক্রবার) সকাল ১১টার দিকে আসামীদের  দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পদক্ষিন করে পরশুরাম মডেল থানায় ঘেরাও করে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টোকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর বাজার এলাকার সাবেক মেম্বার বাবুলের দোকানে চেয়ারম্যান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শাহীনের লেনদেন নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান  ভুট্টো শাহীন চৌধুরীর তলপেট ও পুরুষাঙ্গে লাথি মারে। এ-সময় শাহীন মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত শাহীন চৌধুরী একই ইউপির দক্ষিন কাউতলি গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত শাহীন সাবেক ইউপি সদস্য বাবুলের রড-সিমেন্টের দোকানে কর্মরত ছিলেন।

ওই দোকান থেকে চেয়ারম্যান ভুট্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাশেম সাত লাখ টাকার মালামাল বাকিতে নিয়ে যান। শাহীন সেই পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় হাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টুকে ঘটনাটি জানান। পরে ভুট্টু চেয়ারম্যান ও স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য জাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ, শরীফসহ বেশ  ক’জন লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে শাহীনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠায়।

 

এ ব্যপারে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ৪ আসামিকে পুলিশ আটক করেছে।

এই ঘটনার অভিযুক্ত ভুট্টো চেয়ারম্যানসহ বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।