বিলে মাছ ধরতে গিয়ে আবুল হোসেন (৫৫) নামের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের এক বারকি শ্রমিক ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে বাড়ি সংলগ্ন একটি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। আবুল হোসেন উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছৈদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারকি শ্রমিক আবুল হোসেন শুক্রবার ভোর রাতে বাড়ি সংলগ্ন গুয়া-পাকুয়া বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে সে আর বাড়ি ফিরেনি।অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি স্বজনরা।
স্থানীয়রা মনে করছেন মাছ ধরার অপরাধে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। নিখোঁজ আবুল হোসেনর স্ত্রী, ছয় সন্তানের জননী সবতুন নেছা জানান, জাল দিয়ে খাওয়ার মাছ ধরার জন্য শুক্রবার ভোর রাতে বাড়ির কাছে গুয়া-পাকুয়া বিলে যায় তার স্বামী। কিন্তু সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পাচ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। সবতুন নেছা মনে করেন চুরি করে মাছ ধরার অপরাধে তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে তিনি সন্তানদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন জানান, বারকি শ্রমিক আবুল হোসেন নিখোঁজের বিষয়টি তিনি মোবাইল ফোনে থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মাছ ধরতে গিয়ে বারকি শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ধারণা বিলে মাছ ধরার অপরাধে আবুল হোসেনকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
সোমবার দুপুরে ছৈদাবাদ গ্রামে এ নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। তারা নিখোঁজ আবুল হোসেনকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন। এ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, স্থানীয় আব্দুর রউফ, মন্টু মিয়া, মোক্তার আলী, তছর আলী, রফিক মিয়া, কালা মিয়া, আব্দুল মতিন, নুর ইসলাম, নিখোঁজ আবুল হোসেনের স্ত্রী সবতুন নেছা, মামা আব্দুল কাদির, ভাই আলী হোসেন, জমির হোসেন, মকবুল হোসেন প্রমুখ।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিলে বা বিলের আশপাশে মাছ ধরতে গেলে প্রায়ই ইজারাদারদের নিয়োগকৃত বিলের পাহারাদাররা দরিদ্র মানুষকে মারপিটসহ শারীরীক ভাবে নির্যাতন করে থাকে।
নিজের জমিতেও মাছ ধরতে গেলে একইভাবে নির্যাতন করে পাহারাদাররা। আবুল হোসেন নিখোঁজের সাথে বিলের পাহারাদারদের হাত রয়েছে বলে বক্তারা মনে করেন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।