জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলে মাদকদ্রব্যসহ (মরফফিন প্যাথেড্রিন) এক বহিরাগতকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলে আটতলার বি ব্লকের সিঁড়ির পাশে মাদক সেবন করা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নাম মো. সামি। তিনি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ১নং হাজীনগর ইউনিয়নের খোরশেদ আলম মণ্ডলের ছেলে। সে রসায়ন বিভাগের ৫১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর আত্নীয় হিসেবে তার কাছে থাকতে এসেছে বলে জানা যায়।
আটককৃত সামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তিনি এখানে ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি অনেক দিন থেকেই নেশার সাথে জড়িত। এ কারণে তার বাবা তাকে অনেকদিন রিহাবে রেখেছিলেন কিন্তু তিনি কোনোভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না।
হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার বলেন, ‘রাতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমি প্রশাসনকে জানাই এবং আটককৃত ব্যক্তিকে নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর আটককৃত ব্যক্তি যার আশ্রয়ে ছিলেন তাকে আমরা আজকের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করব এবং হল প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অপরাধীকে নিরাপত্তা শাখার সহকারী পরিচালক আ. বাছেত মিয়ার তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘আটককৃত ব্যক্তি যে মাদক সেবন করা অবস্থায় ধরা পড়েছে, এটা অনেক ভয়াবহ একটা মাদক (মরফফিন প্যাথেড্রিন নামে পরিচিত)। এই মাদক যদি সে হলে কোনোভাবে ছড়িয়ে দিত, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতো। তাই হলে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার আগে তার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে আশ্রয় দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারছি না, মামলা করার জন্য প্রমাণ হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাদক থাকতে হয় কিন্তু তার কাছে সেটা নেই। আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি, তারা আসলে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’