জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল এলাকা থেকে প্রিতম রায় নামের ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টার নেটের এক কর্মচারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে মীর মশাররফ হলের পাশ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। প্রিতমের বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টার নেটের কর্মচারী ছিলেন। সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় মাস্টার নেটের মালিকের বাসায় থাকতেন তিনি।
মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, রাত ১০টার দিকে প্রধানসহ চারজন কর্মচারী ইন্টারনেটের লাইন ঠিক করার কাজ করছিলেন। প্রিতম হলের ‘এ’ ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। অন্যরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। পরে প্রিতমের খোঁজ না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁরা ধারণা করছেন, প্রিতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে মাস্টার নেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, ‘দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী রুমে অবস্থান করে না। সে জন্য রাতেই তাঁর কর্মচারীরা হলে সার্ভিসিংয়ের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রিতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে একজনকে প্রিতম ফোনে জানিয়েছিলেন যে, তিনি দুটি লেজার সার্ভিসিং করেছেন আর দুটি বাকি আছে। এরপর তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পরে হলের পেছনে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে দুবার গিয়ে ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করছি, হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়তো সে পড়ে গেছে। কারণ আমরা কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
বায়ান্ন/এসএ