দূর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত আটজন ইউপি সদস্য। শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাঘরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরহাদ আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য (পদত্যাগ, অপসারণ ও পদশূন্য) বিধিমালা ১৯৮৪ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক আতাউল গনির কাছে অপসারণ চেয়ে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্নীতি, প্রকল্পের নাম করে ইউপি সদস্যরে কাছ থেকে টাকা গ্রহণ, দুর্ব্যবহার, লাঞ্চিত করা, ইচ্ছেমত পরিষদের কার্যসম্পন্ন ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে। প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যান প্রত্যেক ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা ফেরত চাইলে ভয়ভীতি দেখানো হতো।
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের আত্মীয়স্বজন ও তার বাহামভূক্ত লোকদের নামে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ড খুলে কাজ না করে ৪০ দিনের কর্মসূজন প্রকল্পের ১৪ লাখ টাকা অনিয়ম করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লাগানো বেসরকারি সংস্থা প্রশিকার লাগানো গাছ বিক্রির চার লাখ আত্মসাৎ করেছেন। ভতূকি মূল্যে পন্যের কার্ড দেয়ার কথা বলে ইউনিয়নরে আট থেকে দশ হাজার লোকের কাছ থেকে জনপ্রতি একশত থেকে দুইশ’ টাকা নিয়েছেন। যার পরিমাণ ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। অথচ তাদের পণ্য ও কার্ড কোনটাই দেয়া হয়নি। এ ছাড়াও এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় রাস্তা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য মহিলা শ্রমিক নিয়োগে দিতে অর্থ বানিজ্য এবং বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা ও মাতৃত্বকালীনভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা অতিদ্রæতই চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের অপসারণের দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী, শফিকুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া খলিলুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুবি আক্তার, মরিয়ম আক্তার, ফাতেমাতুজ জোহ্রা মুনমুন।