ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সৌদি হয়ে লন্ডন যাবেন বেগম খালেদা জিয়া

সালেহ্ বিপ্লব, ঢাকা | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দু-তিনটি দেশে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি তাকে যুক্তরাষ্ট্রেও নেওয়া হতে পারে। সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১২ অথবা ১৩ ডিসেম্বর তিনি যাত্রা শুরু করতে পারেন। তার সঙ্গে চিকিৎসকসহ ১৭ জন সফরসঙ্গী থাকবেন। যাওয়ার পথে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করার কথা রয়েছে তার। কদিন আগেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ওমরাহ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির সরকার। সবশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজ পালন করেন তিনি।

পবিত্র ওমরাহ পালনের পর প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট’ দিয়েছেন তিনি। 

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গেলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন। 

চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে বিমানে ভ্রমণের মতো শারীরিক ফিটনেস খালেদা জিয়ার রয়েছে। তবে ঝুঁকি এড়াতে তার সফরে ছয়জন চিকিৎসক থাকবেন। যুক্তরাজ্যের ভিসা ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার কাজ এখনও শেষ হয়নি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। এর পর খালেদা জিয়া লন্ডনে যাবেন।  

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়েছে। তবে তার যথাযথ চিকিৎসার জন্য যে সাপোর্ট দরকার, দেশের কোনো হাসপাতালে তা নেই। তাই বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বছরের পর বছর তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন করা হলেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার সে আবেদনে সাড়া দেয়নি।

বায়ান্ন/এসবি