ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নগরীর ষোলশহর ২নং গেইটে সড়কে থাকা ডাষ্টবিনের দুর্গন্ধে যাত্রি ও নগরবাসী নাকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২০ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:১৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম নগরে ষোলশহর দুই নম্বর গেইটের চাররাস্তার মোড়ের চত্বরটি যাত্রি ও সাধারণ মানুষের পাড়াপাড়ের একটি গুরুত্বপূর্ন চত্বর ।  নগরের যাত্রি ছাড়াও খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, ঢাকা, কুমিল্লাসহ অনেক জেলার দূরপাল্লার বাসের যাত্রিরা এই চত্বরে ওঠানামা করে। সেইসাথে নগরের কালুঘাট, শাহ আমানত ব্রিজ, কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে নিউ মার্কেট, আগ্রাবাদ, সী-বীচের পরিবহনগুলো এই চত্বর দিয়েই আসা যাওয়া করে। এখানে রয়েছে বাস ও টেম্পু ও রিকসা ষ্ট্যান্ড। পাশেই রয়েছে ট্রেন রাস্তা। দূরপাল্লার বাস থেকে শুরু করে হিউম্যান হলার, ট্রাক, টেম্পু, রিকসাসহ সকল পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রি ও নগরবাসীরা এই গুরুত্বপূর্ন চত্বরে অবস্থিত একটি ডাষ্টবিনের দুর্গন্ধ নিয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে হয়। এতো গুরুত্বপূর্ন চত্বরে এমন ডাস্টবিন দেখে সাধারণ যাত্রিরা হতবাক। এখানে প্রতিদিন ময়লার দর্গন্ধ নিয়ে তাদের অফিস আদালত ও ছাত্রছাত্রিরা স্কুল কলেছে যেতে হয়। যা যাত্রি ও সাধারণ মানুষের জন্য দুর্বিষহ ও দুরারোগের কারন। পাশের ফুটপাত গুলো আছে হকারীদের দখলে। যার ফলে ফুটপাত দিয়ে যাত্রিরা হাটতে না পেরে এই ডাস্টবিনের পাশেই গাড়িতে উঠা নামা করতে দাড়াতে হয়।  দীর্ঘক্ষণ নাক চেপে, নাকে রুমাল দিয়ে গাড়ির অপেক্ষা করতে হয়।

 নাক চেপে ময়লার ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো একজন চাকরিজীবি মোঃ মহিউদ্দিন জানায়, প্রতিদিনই তার এই রোড দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। একটু বর্ষা হলে অনেক বেশি  কষ্ট হয়।  হোসন আহমেদ চৌধুরী সিটি কর্পোরেশন স্কুলের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রি মিম বলে, এই ডাস্টবিনের পাশে দিয়ে হেটেঁ স্কুল যাই অনেক র্দুগন্ধ, আর ফুটতাপ দিয়ে হাঁটতে পারি না, এই জন্য মেইনরোড দিয়ে হাঁটতে হয়। এতে করে রোড এক্সিডেন্ট হওয়ার ভয় থাকে। চার নাম্বার বাসের কন্ট্রাকটর সবুজ মিয়া বলেন, গাড়ি থেকে যাত্রী উঠানামা করে, এই ষ্টেশনে ডাষ্টবিনের কারনে অনেক দুর্গন্ধ পোহাতে হয়। যাত্রিরাও বিরক্ত বোধ করে। নাক চেপে নামে।যাত্রিরা দুর্গন্ধের কারনে ্এখানে উঠানামা করতে চায়না। একটু সামনে নামালে পুলিশ সার্জেন্ট মোটা অংকের ফাইন করে।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিয়াম বলেন, ইউনিভার্সিটি যেতে ষোলশহর থেকে ট্রেন ধরতে হয়ে, আর এই রোড দিয়ে যেতে হয়। ডাস্টবিনটার কারনে আমাদেরও অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। এই ডাস্টবিনটা নগরের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। 

এই অপরিকল্পিত ডাস্টবিন সম্পর্কে ৮ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মোঃ মোরশেদ আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওর্য়াডের জনসাধারণকে সুন্দর ও দুর্গন্ধহীন পরিবেশ বজায় রাখতে পুরো ওর্য়াডে আপন নিবাস, ২নং গেইট, বাদুরতলাসহ  যতগুলো ডাস্টবিন আছে, সবগুলো ডাস্টবিন অপসারণ করে একটি ডাস্টবিন স্টেশনে নিয়ে আসবো।  এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতি মধ্যে কাজ শুরু করেছি।