ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আহতদের সুচিকিৎসা

নিহত পরিবারের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

জহিরুল ইসলাম শিবলু , লক্ষ্মীপুর | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা, নিহত পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪ ঘন্টারও বেশি সময় তারা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে দুপুর ২টার পর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো মানার আশ্বাস প্রদান করলে এক সাপ্তাহের জন্য তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ছাত্র-জনতা।

এদিকে আন্দোলনকারীরা সড়কেই যোহরের নামাজ আদায় করেন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকতার হোসেন এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে দাবি পূরণে আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, তেলবাহী গাড়িসহ ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহন।

দুর্ভোগে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারীরা।  

এর আগে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ডিসি প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত ও এসপির প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে আসেন। এ সময় ডিসি ও এসপি না আসায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। 

জেলা প্রশাসক এসে তাদের সঙ্গে কথা বললেই তারা কর্মসূচি সমাপ্ত করবেন বলে জানানো হয়।  

কর্মসূচিতে ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, সাব্বির হোসেন রাসেলের স্বজন ও আহত সুজন, এমএ আরিফ, সাইফুল ইসলামসহ আহত অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারী ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে আহত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা যারা আহত হয়েছি, তারা শারিরীক যন্ত্রণায় নিয়ে রাতে ঘুমাতে পারি না। অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা করতে পারছিনা। কিন্তু প্রশাসন আমাদের কারও খবর রাখে না। শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও খবর নেয় না।  

আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের  নেতাকর্মীরা। এতে আন্দোলনরত চারজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় পাঁচ শতাধিক। এ ঘটনায় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এছাড়া আসামিরা আহত ও নিহতদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, আন্দোলনে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নিহত ও আহতদের তালিকা করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সহয়তা ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে