নড়াইলে মাদক ও অস্ত্র মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আলমাচ হোসেন মৃধা একটি মাদক মামলায় সৌরভ আহম্মেদ শ্রাবণকে (২৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয়মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সৌরভ যশোরের কোতয়ালী থানার রেলগেট এলাকার শুভ আহম্মেদ শপুর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সৌরভ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় কাজী জুয়েল নামে একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১০ জুন ভোরে নড়াইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী শ্র্রাবণের কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ৫৪গ্রাম হেরোইন, লোহার তৈরি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানার এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে সৌরভ আহম্মেদ শ্রাবণ ও কাজী জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক এবং অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করেন। আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে শ্রাবণের বিরুদ্ধে এ রায় দেন আদালত।
অন্যদিকে, ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নড়াইল-যশোর সড়কের সীতরামপুর ব্রিজ এলাকায় বিকেল তিনটার দিকে মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযানকালে যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে তিন লিটার ফেনসিডিলসহ বাবুল রহমানকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বাবুল রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দেন নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন। রায় ঘোষণার সময় বাবুল পলাতক ছিল। সাজাপ্রাপ্ত বাবুল যশোরের অভয়নগর থানার গুয়াখোলা গ্রামের ইদ্রিস আলির ছেলে।