যানবাহন চলাচলের জন্য আগামী ২৫ জুন খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের সড়ক যোগাযোগে উন্মুক্ত হবে এক নতুন দিগন্ত। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এই সেতু বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের পর্যটনের পালেও লাগতে চলেছে নতুন হাওয়া।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগেই পদ্মার মুন্সিগঞ্জ অংশে আসেন তরতাজা ইলিশের স্বাদ পেতে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে বেড়াতে আসা এই মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসতে থাকায় ভ্রমণপ্রেমীদের আনাগোনা বেড়েছে আরও। পদ্মার দুই পাড়েই গড়ে উঠছে নতুন নতুন হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, যা ঘিরে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে পর্যটন শিল্প।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থীর সংখ্যা ছাড়ায় ১০ হাজারের বেশি। সপ্তাহের অন্যদিনও সকাল-বিকেল সেতু ঘুরতে আসেন শত শত মানুষ। মাওয়া ঘাটে সারারাত ইলিশ খাওয়ার আয়োজন তো থাকেই।
শুধু সেতু ঘুরে দেখা ও ইলিশ খাওয়াসহ একদিনের ট্যুরের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি ট্যুর এজেন্সি। ঢাকা থেকে যাওয়া-আসা, খাওয়া, ঘোরাসহ জনপ্রতি আটশ বা এক হাজার টাকা নেবে এসব প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে বুকিং নেওয়াও শুরু করেছে তারা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পর্যটনের মানচিত্র পাল্টে দেবে পদ্মা সেতু। দ্রুততম সময়ে যাওয়া যাবে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও সাগরকন্যা কুয়াকাটা। লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা পৌঁছাতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। তবে পদ্মা সেতু হয়ে গেলে অর্ধেক সময়েই পৌঁছানো যাবে। গত বছরের অক্টোবরে পটুয়াখালীর লেবুখালী সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় এ যাতায়াত আরও সহজ হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) প্রেসিডেন্ট খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হলে সড়কপথে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। ঢাকা থেকে সড়কপথে কুয়াকাটা যেতে ছয় ঘণ্টারও কম সময় লাগবে।