ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পেট্রোবাংলার ভ্যাট ফাঁকি ২৩ হাজার কোটি, বিপাকে এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ ১২:২৯:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

 

বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কাছে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কবাবদ বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে ফাঁকি দেওয়া এ অর্থ আদায় নিয়ে বিপাকে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

একদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে না পারা, অন্যদিকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হাজার হাজার কোটি টাকার ঘাটতি— সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে প্রতিষ্ঠানটি (এনবিআর)। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত পেট্রোবাংলার কাছে নিরঙ্কুশ বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬০১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর সঙ্গে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া ৩৭৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা যোগ করলে বকেয়া ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।

পেট্রোবাংলার কাছে বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে দাবিনামা ও চিঠি দিয়ে যাচ্ছে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। কিন্তু কোনোভাবেই তা আদায় হচ্ছে না। কারণ হিসেবে পেট্রোবাংলা বলছে, তাদের কাছে কোনো টাকা নেই। ফলে এনবিআরের দাবি করা ভ্যাট পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া পরিশোধের ক্ষমতা নেই। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করার জন্য অনুরোধ করেছি। এনবিআর কর্তৃপক্ষ যে স্থিতির (ব্যাংক) কথা বলছে, আসলে বর্তমানে আমাদের হিসাবে জমা টাকা নেই। যা ছিল এলএনজি খাতে বিনিয়োগে ব্যয় হয়েছে। এখন বরং আমাদের বিভিন্ন বিল সরকার থেকে এনে পরিশোধ করতে হচ্ছে

মো. গোলাম মোর্তযা, মহাব্যবস্থাপক (এফএমডি), পেট্রোবাংলা অন্যদিকে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ বলছে, পেট্রোবাংলার ব্যাংক হিসাবে বড় অঙ্কের অর্থ স্থিতি অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া তারা প্রতি বছর মুনাফাও করছে। যা দিয়ে বকেয়া পরিশোধ সম্ভব।

এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাহায্য নিয়েও রাজস্ব পরিশোধের একটি উপায় বের করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বারবার তাগাদা দিয়েও রাজস্ব আদায় হচ্ছে না বলে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।