ঢাকা, শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রকল্প নিয়ে ২ ইউপি সদস্যের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কিশোরের

বগুড়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : বুধবার ২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর


 বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরণা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের এক নারী সদস্যের সরকারি প্রকল্পের বালু অন্য এক সদস্য চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর ও ছুরিকাঘাতে মো. শাকিব (১৮) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এর আগে গত রবিবার (৩০ অক্টোবর) থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে সে চিকিৎসাধীন ছিল।
নিহত মো. শাকিব উপজেলার খরনা ইউনিয়নের বড়তিতখুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। সে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।
সূত্র জানায়, উপজেলার খরণা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সেলিনা আকতার মুন্নি বীরগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে রাস্তায় সিসি ঢালাই কাজের জন্য সরকারি বরাদ্দ পান। ওই কাজ নিয়ে তার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ২৪ অক্টোবর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে বেশ কিছু বালু বেঁচে যাওয়ায় তা রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। কিন্তু দ্বন্দ্বের জের ধরে ওই দিন রাতে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের হুকুমে তার সহযোগী নয়নসহ (২৭) বেশ কয়েকজন এসে
বালু চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ওই নারী সদস্যের ছেলে মিনহাজ (২৮) ও তার বন্ধু রাজমিস্ত্রি মো.  শাকিবের সঙ্গে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগী নয়নের তর্ক-বিতর্ক হয়।
ঘটনার জের ধরে গত রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বীরগ্রাম এলাকায় মিনহাজের বন্ধু শাকিবকে একা পেয়ে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের হুকুমে তার সহযোগী নয়নসহ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত শাকিবকে বেদম মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। এতে শাকিবের মাথাসহ  শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা শাকিবকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় শাকিবের মা আছমা খাতুন বাদী হয়ে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানসহ এজাহারভুক্ত সাতজন এবং অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নারী ও পুরুষ সদস্যদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে বালু নিয়ে যাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। মারা যাওয়ায় এখন তা হত্যা মামলায় পরিণত হবে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।