ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যুবলীগ নেতা ইউনুচ শেখ (৩৫) কে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মো. রুহুল মোল্যা (৬০) নামের এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫জুন) বিএনপি নেতা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব।
আটককৃত মো. রুহুল মোল্যা (৬০) বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের বাসিন্দা । কুপিয়ে জখমের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি তিনি। আহত যুবলীগ নেতা ইউনুচ একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সুবদেবনগর গ্রামের বাসিন্দা।
আহত যুবলীগ নেতা ইউনুচ শেখ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এরআগে রোববার (৪ জুন) ইউনুচের স্ত্রী রিপা বেগম বাদী হয়ে রুহুল মোল্যাকে প্রধান আসামি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আ. গফফার শেখকে দুই নম্বর আসামি করে ২০ জনের নামে মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে রুহুল মোল্যার সঙ্গে ইউনুচ শেখের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২ জুন রাত ১০ টার দিকে ইউনুচ বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বাইখির গ্রামের খলিলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে রুহুল ও আ. গফফার তাদের লোকজন নিয়ে ওই যুবলীগ নেতাকে চারিদিক ঘিরে ফেলে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় ইউনুচের ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ইউনুচকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলায় আহত ইউনুচ শেখ বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল মোল্যা আমাকে দল করতে নিষেধ করে বিভিন্ন সময় চাপাচাপি করছিল। দল করলে তার সঙ্গে দল করতে হবে বলেও তিনি চাপ সৃষ্টি করেন। তার কথা শুনি নাই বলে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে জন্য লোকজন নিয়ে কুপিয়েছে।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ইউনুচ শেখকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি রুহুল মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।