বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটি আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথায় সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড এডভোকেট দুলাল কুন্ডু।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপ-কমিটির আহ্বায়ক হাসান আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, মতিয়ার রহমান, সাজেদুর রহমান ঝিলাম, শাহনিয়াজ কবির খান পাপ্পু, সোহানুর রহমান সোহান প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দেশগান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বগুড়া জেলা সংসদের শিল্পী বৃন্দ। এরপর এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় ভ্রাম্যমান মঞ্চে দেশগান পরিবেশন করা হয়। বিকালে শহরের কলোনি বাজার, বনানী, ফুলতলা,খান্দার ও সেউজগাড়িতে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ থেকে গান পরিবেশন করা হয় এবং জেলার নেতৃবৃন্দ পথসভায় বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ ৫০ বছরে পদার্পণ করছে। জনগণ যে ধরনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেশ আজ তার উল্টোপথে চলছে, ঘুষ দুর্নীতি, লুটপাট, দখলদারিত্ব, হত্যা, নারী নিপিড়ন, বেকারত্ব বেড়ে চলেছে, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে মানুষ দিশেহারা বৃদ্ধি পেয়েছে ধন-বৈষম্য ও শ্রেণী-বৈষম্য। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান প্রতিহত ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ব্কতারা জামায়াত -শিবিরের রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সেই সাথে গণতন্ত্র জোরদার করতে হবে, অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠিত করকে হবে। বক্তারা বলেন,ভাত ও ভোটের দাবিসহ শোষণ মুক্তির লড়াইয়ের জন্য শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমাদের আকাঙ্খা ও অর্জনের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়ে গেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতি, সাম্রাজ্যবাদ নির্ভরতা, হেফাজত তোষণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ভুলুন্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন, হারিয়েছি ভোটাধিকার, জোরদার করতে হবে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, ভাত ও ভোটের লড়াইকে। নেতৃবৃন্দ দৃঢতার সংগে বলেন গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং সাম্যের বাংলাদেশ নির্মাণ করবো শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং চেতনা বাস্তবায়ন করবোই। ৬ দিন ব্যাপি সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি পালিত হবে, এই কর্মসূচি কাহালু, শেরপুর, ধুনট, গাবতলী, সাড়িয়াকান্দি, সোনাতলা উপজেলাতেও পালিত হবে।