স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাবান্ধা সীমান্তে নবনির্মিত জয়েন্ট রিট্রিট প্যারেড দর্শক গ্যালারির মাধ্যমে ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃ প্রতীম সম্পর্কের স্বাক্ষর হলো। আমরা মনে করি দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট থাকবে, সম্পর্ক আরও গভীর হবে। আশা করি আমরা একসঙ্গে চলবো, এক সঙ্গে উন্নয়নের গান গাইবো।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে নবনির্মিত এ দর্শক গ্যালারি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারত অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যক্তিগতভাবে আমি ভারতীয় বিএসএফের কাছে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনে দীর্ঘদিন ধরে নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিষয়টি শিগগিরই আলোচনার মধ্যে সুরাহা করা হবে।
দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার ও আস্থা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ কন্টিনজেন্ট এই প্যারেড প্রদর্শনের আয়োজন করে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন (১৮ বিজিবি)।
এই সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজাহারুল হক প্রধান, বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, শিলিগুড়ির আইজি শ্রী অজয় সিং, বিজিবির উত্তর পশ্চিম রংপুর রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান, বিজিবি-বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে তেঁতুলিয়া সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। সেখানে বিজিবি কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার খবরে হেলিকপ্টার দেখতে সীমান্তবর্তী উপজেলাটির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।