বাঘাইছড়ি উপজেলায় চলতি মাসে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে নিহত ২ স্কুল ছাত্রের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে নিহতদের পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা।
এসময় বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বালুখালিতে মৃত ছোয়া চাকমা ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার নারিকেল বাগান এলাকায় মৃত কৃতিত্ব চাকমা'র পরিবারবর্গের পক্ষে অনুদানের টাকা গ্ৰহন করেন, বঙ্গলতলী ও বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
নিহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান শেষে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারের পক্ষ হতে বন্যায় নিহতদের পরিবারের মাঝে উক্ত অনুদানের টাকা প্রদান করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার, বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র মোঃ জমির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলে, গত ২ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় কৃতিত্ব চাকমা বন্ধুদের সঙ্গে বাঘাইছড়ি গ্রাম-নারিকেল বাগানে বন্যার পানি দেখতে যায়। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে পানিতে তলিয়ে যায় সে। দুদিন পর ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ ভেসে উঠে। নিহত কৃতিত্ব বাঘাইছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বাঘাইছড়ি গ্রামের মিল্টন চাকমার ছেলে।
অপরদিকে ৩ জুলাই বুধবার বিকালের বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী ছোঁয়া চাকমা বাড়ির সামনে বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায়। এ সময় তার মা-বাবা বাড়িতে ছিলেন না। তারা ফিরে এসে ছোঁয়াকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। সন্ধ্যার দিকে তার লাশ ভেসে উঠে। ছোঁয়া বিটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। সে ওই গ্রামের মোহিনী কুমার চাকমার মেয়ে।