রাজশাহীর বাঘা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও নাশকতা প্রতিরোধ বিষয়ে চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যে গুরুত্ব পায়, চিনি দিয়ে আখ এবং খেজেুরের গুড় তৈরী বিষয়। এ সময় এটি প্রতিরোধে ব্যর্থতা স্বীকার করেন আড়ানী পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কার্তিক হালদার।
নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পর-পর চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান এড: লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বাঘা পৌর সভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, আড়ানী পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কার্তিক হালদার, উপজেলার সকল দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা বৃন্দ, জনপ্রতিনীধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ,শিক্ষক ও সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের লোকজন।
সভায় ভেজাল গুড় তৈরী, মাদক সেবন, সুদের ব্যবসা, বাঘা মাজার এলাকা সহ-হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, গণহারে যে কোন বিষয় নিয়ে মাইকিং, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ , দ্রব্য মুল্যের বাজার মনিটরিং ,যানজট নিরসন,শিক্ষার্থীদের ভিডিও গেমে আসক্ত, ইমো-বিকাশ হ্যাকিং ও বালির ট্রাকে তাবু ব্যবহার না করায় পরিবেশ দুষন-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এ সময় আড়ানী পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কার্তিক হালদার বলেন, আমাদের এলাকায় চিনির সাথে ক্যামিকেল দিয়ে আখের গুড় তৈরী হয় । সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক ভেজাল গুড়ের কারখানা আছে। তবে আমার একার পক্ষে এটি নিরসন করা সম্ভব নয়। আমি এসব কারখানা বন্ধ করার ঘোষনা দিলে বাড়ী থেকে এলাকায় বের হতে পারবো না। তিনি বলেন, এর আগে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য(র্যাব) অভিযান চালিয়ে অনেক গুড় ধবংস করেছিলো। এতে করে কিছু দিন বন্ধ ছিলো। কিন্তু বর্তমানে আবার ও এসব কারখানা চলমান। এটি বন্ধ করতে হলে সকলের সহযোগিতা দরকার বলে তিনি দাবি জানান।
সভায় রহমতুল্লা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার আড়ানী এলাকায় চিনি দিয়ে আখের গুড় তৈরীর পাশা-পাশি পুরো উপজেলা ব্যাপী বিভিন্ন গ্রামে নি¤œমানের চিনি অথবা মোনালিস (সুগার মিলের গাদ) এর সাথে নানা রকম ক্যামিকেল যেমন- চুন, হায়ডস, ফিটকারী,ডালডা, আটা, আলু এবং বেলুন পাট নামে একটি গাছের ছাল ব্যবহার করে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরী করছেন। যা মানব দেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। একই সাথে সুদের বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে উক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, আজকের সভায় অনেক গুরুত্ব পূর্ন কিছু বিষয় উঠে এসছে। পর্যায় ক্রমে সব গুলোয় দেখভাল করা হবে। এর মধ্যে সহকারী কমিশনার ভুমি এবং বাঘা থানা পুলিশের সহোযোগিতায় অতি দ্রুত গুড়ের বিষয়টি দেখভাল করা হবে বলে তিনি সবাইকে আস্বাস্ত করেন।