কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে টাকা আত্মসাতকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে ১৪ জুন আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় এক ব্যাংক কর্মচারীকে জিম্মি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা লুটে নিয়েছিল চক্রটি। সে ঘটনার পরদিন একজন গ্রেপ্তার হলেও পলাতক ছিলেন এই দুই গ্রেপ্তারকৃত।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার রাতে ঢাকার ধামরাই থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, ঢাকার ধামরাই থানার বাটুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহিন (৩৫) ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার এশারত আলীর ছেলে আতা (২৬)। তাদের নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। এছাড়া তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই প্রতারণার মামলা রয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় সাইদুর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি মশিউর রহমান (৩৭) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর মতিঝিল শাখায় অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায়। তিনি ঢাকার কদমতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী মশিউর রহমানের সাথে কথা বলে ও মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, তিনি ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য সাভার আসছিলেন। একটা সময় অস্তস্তি লাগে, বাসে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সজাগ হলে দেখি আমি আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে। কয়েকজন আমাকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। এসময় ৪ থেকে ৫ জন উপস্থিত ছিল। সেখানে মারধর করে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে মোবাইল ব্যাংকিং সহ বিভিন্ন ভাবে ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা এনে দিলে পরে মুক্তি পেলে। তিনি আরো বলেন, বাসে উঠার পরই তাদের কেউ আমাকে টার্গেট করে কিছু একটা করেছে। ফলে অনেকটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূলত তারা মানুষকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে টাকা লুটে নেয়। মামলায় আরও কয়েকজনের নাম আছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।