সিলেটের বিশ্বনাথে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির, দোকানপাঠ, বাড়িঘর, সরকারি-বেসরকারি অফিস’সহ রাস্তাঘাট। ফলে সময়ে সাথে সাথে পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিকেরও অধিক মানুষ।
ঈদুল আযহা’র পূর্বে থেকেই প্লাবিত এলাকাগুলোতে সরকারি ত্রাণ নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন সিলেট-২ স্থানীয় এমপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তারের নেতৃত্বে প্রস্তুত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বিশ্বনাথ তথা সিলেট-সুনামগঞ্জে এযাবতকালে ঘন-ঘন বন্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ চিহ্নিত করেছেন কিশোরগঞ্জের ‘ইতনা-মিঠামইন সড়কে’ পানি নিষ্কাষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রীজ-কালভার্ট না থাকাকে চিহ্নিত করেছেন। তাই সিলেট-সুনামগঞ্জকে ঘন-ঘন বন্যায় কবলিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত ওই সড়কে পর্যন্ত পরিমাণ ব্রীজ-কালভার্ট স্থাপনের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ’সহ প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বাড়িঘর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ফলে মানুষ নিজেদের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। পানিতে ভিজে অনেক এলাকায় গুলায় নষ্ট হতে শুরু করেছে ধান-চাল। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ইতিমধ্যে যে পরিমাণ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত হয় বলে দাবী করেছেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।
সরকারের কাছে আরোও ব্যাপক বরাদ্ধের দাবি করেছেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতসীন, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ইমাম উদ্দিন, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান ও বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
সরকারের পাশাপাশি বন্যার্তদের পাশে সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদের’সহ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।