সিলেটের বিশ্বনাথে দুই প্রবাসী ভাইয়ের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় লন্ডন প্রবাসীসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কদ্দুছ উরফে চিকন আলী (৬০), একই গ্রামের মৃত কটু মিয়ার পুত্র টুনু মিয়া (৩২), সাজু মিয়া (৩০), মৃত হাফিজ আলীর ছেলে আবুল মিয়া (৪৫), নানু মিয়ার ছেলে শরীফ আহমদ (১৯), আলকাছ আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৩২), মৃত খুর্শেদ আলীর ছেলে সেবুল আহমদ (৪৮), আর্শ্বব আলীর ছেলে রোহান উদ্দিন জাফর (১৯), মৃত ছিদ্দিক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), নানু মিয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০), জুনু মিয়ার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৫), চান্দশীরকাপন গ্রামের মৃত আমজদ আলীর ছেলে ছালেক মিয়া (২৫), ধীতপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর মেয়ে রিয়া বেগম রুবি (৩০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর পূর্বভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৬), ওসমানীনগর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের আইন উল্লাহর ছেলে রাসেল উল্লাহ (২৪), খাপন খালপাড় গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে লাল মিয়া (২৪), মৃত আমজদ খানের ছেলে কামরুল খান (২৪), মোল্লারগাঁও গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল মতিন (৪৩) সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া গ্রামের মৃত আফিজ আলীর ছেলে কফিল আহমদ (২৩) ও কুবাজপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া (২৪)। তবে প্রথমে আটক করা হয়েছিলো ২৮ নারী-পুরুষকে। তবে আটকের পর ২১জন ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে ৭ নারীকে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মন্নান উরফে মসকুদ আলী ও তার ভাই আব্দুল কদ্দুছ উরফে চিকন আলীর মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষে আদালতে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তি করতে স্থানীয় পঞ্চায়েতসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্যোগ নেন পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানও। এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যে শনিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজনদের মধ্যে উত্তজনা বিরাজ করলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উভয়পক্ষের লন্ডন প্রবাসীসহ ২৮জন নারী-পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তাদের মধ্যে ২১জনকে শনিবার বিকেলে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ এবং মানবিক দিক বিবেচনায় শিশুসহ ৭ নারীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘উভয়পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। খবর পেয়েই আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ২৮জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে এর মধ্যে ২১জনকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ মহিলাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।