উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে সৈয়দপুর উপজেলা, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে দলীয় সকল কর্মকান্ডে সবসময় শক্তিশালী অবস্থানে ছিলো সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল সংগঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে সকল সভাপতি সাধারন সম্পাদক দলকে সবসময় সংগঠিত করে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছিলো। গত সম্মেলনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেল অঙ্গনে রেলের একজন শ্রমিকনেতা ও দূর্নীতি পরায়ন এবং রেল কারখানা ধ্বংসের মহানায়ক ও কুখ্যাত রেল ভূমিদস্যু হিসাবে খ্যাত এবং ভাইজান বাহিনীর কুখ্যাত ভাইজান। আওয়ামীলীগের সম্মেলনের সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় কোন্দল তৈরী করে কালো টাকা খরচ করে ইউনিয়ন কমিটিগুলিকে দ্বিধাবিভক্ত করে তিনি নিজে উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক পদ দখল করার জন্য। এবং তার অবৈধ প্রভাব টিকে রাখার জন্য তার এই সিন্ডিকেটকে সহযোগীতা করে স্থানীয় সরকার দলীয় একজন এমপি ও উত্তবঙ্গের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী।
আওয়মীলীগ সহ উক্ত নেতার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্তৃত্ত তার দরকার, মাইম্যান বসিয়ে ভাইজান বাহিনী রাজত্ব করতে চায় রেলের হাজার কোটি টাকার জমির উপর বানিজ্য। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন, ফলে সম্মেলনে তিনি হাজার চেষ্টা করেও দলীয় পদ পদবী পাননি। সভাপতি হন সাবেক সভাপতি মরহুম আকতার হোসেন বাদল ও সাধারন সম্পাদক হন শহীদ পরিবারের সন্তান মহসিনুল হক মহসিন। কমিটি কেন্দ্র হতে ঘোষনা হলে সৈয়দপুরের সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। পরবর্তীতে পুর্নাঙাগ কমিটি না করেই করোনায় সভাপতি মৃত্যু বরন করলে সুকৌশলে দলীয় কেন্দ্রীয় সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদটি বাগিয়ে নেন।
গত ২৬শে ডিসেম্বর সৈয়দপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিতর্কিত এই সভাপতি দলীয় গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয়তা ব্যাক্তিদের দলীয় মনোনয়ন ক্ষেত্রে সঠিক সুপারিশ না করে তার নিজ ভাইজান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বোতলাগাড়ীতে দেন তার নিজ ভাইকে, কাশিরামে দেন নেতাকর্মীদের কাছে অপরিচিত তার নিজস্ব মাইম্যান। কামারপুকুরে তার মাইম্যানকে বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করিয়ে নৌকার ভরাডুবি করান। খাতামধুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহিলা কোটার প্রার্থী হাসিনা বেগমকে অপহরনে করতে ব্যার্থ হয়ে তার বিপক্ষে তার মাইম্যান পাইলটকে দাড় করিয়ে তার সকল মাইম্যান নেতাকর্মী নিয়োগ করে হাসিনাকে ৯৩ ভোট পাইয়ে দেন। খাতামধুপুরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, তাতীলীগ, মৎস্যজীবিলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগসহ একাধিক সংগঠনের পদ পদবীভুক্ত কমিটির ভোট রাতারাতি গায়েব এর সঠিক ব্যাখ্যা কারো কাছেই পাওয়া যাচ্ছে না।
এব্যাপারে সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হককে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন খাতামধুপুর ইউনিয়ণ আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ অবলম্বন করে এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর বড়ভাই ভাইজান বাহিনীর ডানহাত ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং তার ছোটভাই পাইলট বিদ্রোহী প্রার্থী তাই সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে দলকে কলঙ্কিত করেছে এটা আমাদের জন্য চরম লজ্জাকর। আমরা কেন্দ্রে অবহিত করে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো। এব্যাপারে একাধিক আওয়ামী নেতা আরো জানান বিতর্কিত সভাপতি ইতিপূর্বেও সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর টেলিফোন মার্কায় ভোট করেছিলেন মোট টাকার বিনিময়ে কিন্তু পরবর্তীতে কেন্দ্র কোন দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি একের পর এক দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করে চলেছেন তার নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। তাই ৫টি ইউনিয়নের একটি ছাড়া সবকটিতেই আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হয়।