ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভোলার চরফ্যাশনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৬ মে ২০২২ ০৭:৫৩:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

ভোলার চরফ্যাশনে মুজিববর্ষের ৩য় পর্যায়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর রসুলপুরের ভাষান চর এলাকায় নির্মাণাধীন গৃহের কাজে নিম্নমানের ইট, বালু ও নামাত্র সিমেন্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে নিজে সতর্ক হয়েছেন এবং দায়ীদের বিরুদ্দে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান উপজেলা নিবার্হী অফিসার আল নোমান।

অভিযোগের ভিত্তিতে (৬ মে) শুক্রবার সরজমিনে জানা গেছে, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ে চরফ্যাশন উপজেলায় ৩৪০টি পরিবারের জন্য জন্য ঘরের বরাদ্ধ আসে। এগুলোর মধ্যে উত্তর চরমানিকা ৬০টি, জিন্নাগড় ৩টি এবং চর আরকলমি ৪৭টি মোট-১২০টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

মনোরম পরিবেশে নির্মিত ওই ১২০টি ঘরের চাবি ও জমির দলিল ইতোমধ্যে চরমানিকা, জিন্নাগড়, জাহানপুর, নজরুলনগর, রসুলপুর এবং কলমি ইউনিয়নের অসহায়, ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। পূনর্বাসিত উপকারভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে প্রতিবন্ধী পরিবার ১২টি, নদীভাঙ্গা পরিবার ৪৮টি, স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার ১৫টি, শ্বশুর বাড়িতে আশ্রিত পরিবার ২১টি এবং স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ অসহায় ভূমিহীন পরিবার ২৪টি।

৩য় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ৩৪০টি ঘরের মধ্যে অবশিষ্ট ২২০টি গৃহের নির্মাণ কাজও চলমান আছে এবং আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে ওই সকল গৃহে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে এবং এর মধ্য দিয়ে চরফ্যাশন উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষনা করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্মাণাধীন ২২০টি গৃহে ভূমি ও গৃহহীন অসহায় পরিবারগুলো পুনর্বাসনের লক্ষে প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীন ও অসহায় পরিবাগুলোর বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রকৃত অসহায় ও গৃহহীন পরিবার যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলমান আছে। যাচাই বাছাইয়ে মনোনীত পুনর্বাসন প্রত্যাশী পরিবারগুলোর মধ্যে গৃহ প্রাপ্যতার অগ্রাধীকার তালিকা প্রস্তুতপূর্বক লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন এবং ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

এদিকে রসুলপুরের ভাষান চর এলাকায় নির্মাণাধীন গৃহের কাজে নিম্নমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট কম দিয়ে নির্মান কাজ করার অভিযোগ করেন ঘর প্রাপ্ত সুফলভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা। নির্মান কারিরা ঘর প্রাপ্ত পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও দাবী করছেন বলে জানান তারা।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এসব ঘর মূলত অসহায় লোকজনের জন্য দিয়েছেন। এখানে র্দূনীতি করার কোনো সুযোগ নাই। টাকা দেয়ারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। স্থানীয়দের অভিযোগ সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি আরো সতর্ক হয়েছি।

আমরা ইট ভাটা কর্তৃপক্ষকে ১ নম্বর ইটের টাকা প্রদান করে থাকি। বর্তমানে ইট দিচ্ছে কাজী ও মোহনা ব্রিক। মোহনা ব্রিক থেকে এক নম্বর খোয়া কিনে ব্যবহার করা হয়েছে। আর ওই ইট যারা দিয়েছে তাদের সকল ইট ফিরিয়ে দিয়েছি এবং শাপলা ব্রিকের চুক্তি বাতিল করেছি। ওই ইট দেয়ার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।