ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরপুরের ‘ডন’ হতে ‘কন্ট্রাক্ট কিলিং’

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

নাম মো. হৃদয়। রাজধানীর মিরপুরের ‘ডন’ হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য তিনি ‘কন্ট্রাক্ট কিলিং’ (চুক্তিতে খুন) এর মতো অপরাধে জড়ান। সর্বশেষ ২ লাখ টাকার চুক্তিতে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে শাহাদাত হোসেন হাসিব নামে এক কিশোরকে ছুরি মেরে হত্যা করেন হৃদয় ও তার সহযোগীরা। 

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ।  এই প্রেস ব্রিফিং করা হয় উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে।

এর আগে শাহাদাত হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) বরিশালের ঝালকাঠি থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে হৃদয়ের দেওয়া তথ্যে ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার সহযোগীসহ ৪ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শাহ আলী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসে পুলিশ। ব্রিফিং করেন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার এজেডএম তৈমুর রহমান। 

এজেডএম তৈমুর রহমান বলেন, ১৭ বছর বয়সী কিশোর শাহাদাতকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর শাহ আলী এলাকা ও ঝালকাঠি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

959859595

 

পুলিশ বলছে, হৃদয়ের বয়স ১৮। সে ছাড়া গ্রেফতার বাকি চারজনের মধ্যে একজন ১৬ বছরের কিশোর। বাকি তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক। এরা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল (৩০), হুমায়ুন কবির (৬৫) ও মো. আল-আমিন আহমদ (১৮)।

উপকমিশনার তৈমুর বলেন, ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়- মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহাদাতকে খুন করা হয়। এ হত্যায় মোট পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিনজন। গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে হৃদয়সহ দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে শাহাদাতকে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তৈমুর বলেন, শাহাদাতের বাবার সঙ্গে বিপুল নামে এক প্রবাসীর বাবার নোয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত মামলা আছে। বিপুল বিদেশে থাকেন।  এ মামলার জের ধরে শাহাদাতকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার এই দায়িত্ব দেওয়া হয় মোফাজ্জলকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহাদাতকে হত্যার জন্য হৃদয়ের সঙ্গে ২ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে হৃদয়কে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মোবাইল নম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করে হৃদয়ের নম্বর পাওয়া যায়। ঘটনার পর হৃদয় ঢাকা থেকে চাঁদপুরে পালিয়ে যান। সেখান থেকে যান ভোলা। পরবর্তীতে ভোলা থেকেও সরে চলে যান ঝালকাঠি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।এ ঘটনায় বিদেশে থাকা বিপুলের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।