মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে জাতির দর্পন। সঠিক সাংবাদিকতা চলমান থাকলে সেই দর্পনে জাতির ভাল-মন্দ সব ভেসে উঠে। তাই সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের জন্য যেমন সহায়ক তেমনি মুক্ত এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজ, রাষ্ট্রের সার্বিক অগ্রগতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে।
মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার সমাপনি দিন সোমবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশের মুক্তাগাছা সাউথ এপির সহযোগিতায় প্রেসক্লাব ভবনে বাল্য বিবাহ বন্ধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানা। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিছ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান, মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান, সুইজারল্যান্ড থেকে আগত ওয়ার্ল্ডভিশনের আন্তর্জাতিক পরিদর্শক মিসেস এমি, মিসেস নোয়েম, মি. থমাস ও ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার রাজু উইলিয়াম রোজারিও। অন্যান্যের মধ্যে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুবুল আলম রতন, সদস্য মনোনেশ দাশ, এম ইউসুফ, ওয়ার্ল্ডভিশন কর্মকর্তা ন¤্রতা হাউই প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানা বলেন, রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের ভালমন্দ সবই উঠে আসে। বাল্যবিয়ে বন্ধসহ সামাজিক নানা কর্মকান্ডে সাংবাদিকদের অংশ গ্রহণ খুবই পজেটিভ।
মিসেস এমি বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নানামুখি উন্নয়নে বাংলাদেশে অনেক কাজ হচ্ছে। এই দেশের মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরাও পেশার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অনেক কাজ করছেন জানতে পেরে খুবই ভাল লেগেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে এখানকার শিশুরাও কাজ করছে। এখানে মানুষের মাঝে অনেক সচেতনা বেড়েছে। বাল্যবিয়ের মত ইস্যুতে অভিভাবক বা নির্দিষ্ট কাওকে দায় না দিয়ে সবাইকে সচেতন করে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এতে অতিথিদের সাথে প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা, সদস্য, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।