বোয়ালিয়া আল আমীন একাডেমি একটি বোয়ালিয়ার বাতিঘর হিসাবে পরিচিত। বোয়ালিয়া গ্রামে যখন একটি প্রাইমারী স্কুল ছাড়া আর তেমন স্কুল গড়ে ওঠেনি ঠিক তখন ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন এই স্কুল গড়ে ওঠে।এই স্কুলের পড়ালেখার মান ও গুনগত মান এতই ভালো যে প্রতিবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আল আমীন একাডেমির কিছু ছাত্র পড়ার সুযোগ পায়।এই পর্যন্ত এলাকার বেশ কিছু মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্র ডাক্তার হয়েছে তাদের শিক্ষাজীবন এই স্কুল থেকেই শুরু।
সদ্য মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ ইমরান এই স্কুলের ছাত্র, তার বাড়ি দক্ষিণ পড়ুয়া পাড়া।তারমত পূর্বেও আরো বেশ কজন ছাত্র ছাত্রী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বিভিন্ন বিবিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে।
জানা যায়,মো.ইমরান একজন কৃষক বাবার মধ্যভিত্ত পরিবারের ছেলে।সে সকাল বিকাল পরিবারের ক্ষেত-খামার ও কৃষি কাজে পরিবারকে সহযোগিতা করতেন।বাকি সময়ে পড়ালেখা শেষ করতেন।ছোট বেলা থেকে সে খুব মেধাবী ছিল তাই বাকি ছাত্র ছাত্রীদের অর্ধেক সময়ে সে নিজের পড়া শেষ করতে পারতো।পরিবারের কাজে সহযোগিতা করার কারনে সে প্রায়ই স্কুলে হাজির হতে দেরি হতো।তার এই দেরী হওয়ার কারন প্রধান শিক্ষক জানতো বিধায় উল্টো তাকে উৎসাহ দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে।
এ ব্যাপারে আল আমীন একাডেমি'র প্রধান শিক্ষক মিয়া করিম জানান,প্রাক- প্রাথমিক কিংবা প্রাইমারি লেভেলে অনুমান করা যায় নিজের ইচ্ছা শক্তি ও পারিবারিক সার্পোটে কোন শিক্ষার্থী। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে জয় করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু বন্ধু মেডিকেল কলেজে চার্জ পেয়েছে। আল আমীন একাডেমীতে অধ্যায়ন কালে প্রায় সময় বিলম্বে উপস্থিতি হতো। বিলম্বে উপস্থিতির কারণ হিসেবে পারিবারিক বিভিন্ন কাজ আমার সামনে তুলে ধরতো। একদিন বেশ বিলম্ব উপস্থিতির জন্য তাকে শাস্তির মুখাপেক্ষী করার জন্য ম্যাডাম আমার কাছে পাঠালো। কারণ হিসেবে বললো-
স্যার আপনি যখন স্কুলে আসতেছেন -তখন আমি ভ্যানে করে ধানের চারা গাছ নিয়ে স্কুলের সামনে দিয়ে গেছি।
এভাবেই সে পরিবারের কৃষি কাজে পরিবার কে সহযোগিতা করার পাশাপাশি পড়ালেখা করেছে।আজ আমরা শিক্ষকরা সবাই আনন্দিত। তাকে নিয়ে গর্ব করছি।
প্রধান শিক্ষক মিয়া করিম আরো বলেন,ইমরান যে এইভাবে একদিন নিজ এলাকা কে একটি সারপ্রাইজ দিবে তা ইমরানের ছোটবেলা থেকে বুঝেছিলাম।আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।